সৃষ্টির রহস্য
কিভাবে আমাদের বিশ্বের তৈরি
সৃষ্টির রহস্য ভেদ করতে গিয়ে আমাদের আজো বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের মতবাদ এর উপর নির্ভর করতে হয়। উনার মতামতের সমালোচনা ছিল অনেক কিন্তু এই ধারণা টি মিথ্যা এমন কেউ প্রমাণ করতে পারেনি।
সৃষ্টির রহস্য কে আমরা ২ টি ভাগে ভাগ করতে পারি। ১/- জীব সৃষ্টি ২/- মহাবিশ্ব সৃষ্টি (মহাশূন্য সহ সমস্ত গ্রহ ও নক্ষত্র)
বিজ্ঞানের মতে কেমিকেল রিয়েকশন (chemical reaction) এর ফলেই প্রাণের উৎপত্তি। আবার বিজ্ঞান এও বলছে যে, সূর্যের প্রচণ্ড বিস্ফোরণের ফলে নয়টি গ্রহ ও উপগ্রহ গুলি সৃষ্টি হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে পৃথিবী ছিল উত্তপ্ত জ্বলন্ত একটা পিণ্ড। ধীরে ধীরে এটি ঠাণ্ডা হতে থাকে এবং এর ফলে জলের উৎপত্তি। জল থেকে প্রথম প্রাণ হিসাবে এমিবা (amoeba)) নামক এক কোষী প্রানী, এর পর এলো শ্যাওলা, মাছ সহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী। ধারণা করা হয় হিমালয় হলো প্রথম মৃত্তিকা। বিভিন্ন প্রাণীর জিবাস্ম থেকেই হিমালয়ের উৎপত্তি।
আবার আরেকটি ধারণা থেকে পাওয়া যায়; পৃথিবী সূর্য থেকে বিচ্যুত হয়ে ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা হতে থাকে এবং এর ফলে বরফ এর সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে গ্রহাণু, ধূমকেতু, উল্কার আঘাতে পৃথিবীর বরফ গুলি গলতে থাকে এবং জলের সৃষ্টি হয় এবং এ জল থেকেই প্রাণের উৎপত্তি।
বেদ মতে নিরাকার মহাশক্তি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ছিলেন এবং তিনি ঘুমন্ত ছিলেন। হঠাৎ তিনি জাগ্রত হয়ে নিজের বিকাশের জন্যে ঊর্ধ্ব মুখি উঠার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। যেহেতু তিনি মহাশক্তি সেহেতু ইচ্ছা মাত্রই তিনি গতি প্রাপ্ত হলেন। হঠাৎ গতি প্রাপ্ত হওয়াতে বিস্ফোরণের সৃষ্টি হলো এবং এই বিস্ফোরণের থেকে সৃষ্ট আগুন, শব্দ ও আলোকে স্থাণদেবার জন্যে মহাশূণ্যের সৃষ্টি হলো। এই বিস্ফোরণের শক্তি সীমা ছেড়ে অসীমের দিকে ধাবিত হতে থাকে; এ কারণে মহাশূণ্যের কোন সীমা নেয়। বেদ মতে মহাশক্তি প্রতিনিয়ত তাঁর শক্তির সাহায্যে মহাশূন্য সৃষ্টি করে যাচ্ছেন যার কূল কিনারা পাওয়া সম্ভব নয় কোনোদিন।
বিজ্ঞান বলছে আদি প্রাণ হলো ডাইনোসার (dinosaur) এবং গ্রহাণুর আঘাতের ফলে তারা মারা যায় এবং পরবর্তীতে আবার নতুন করে প্রাণের বিকাশ ঘটে। কিন্তু বিশ্লেষণে দেখা যায় গ্রহাণুগুলি এশিয়াতে আঘাত করেনি, আঘাত করেছিল আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপের দিকে। তার প্রমাণ হলো আমাদের এশিয়ার মাটি বালি যুক্ত কিন্তু আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপের মাটি পাথুরে। গ্রহাণুর আঘাতে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপের মাটি জ্বলে পাথরে পরিণত হয়েছিল সেই সময়ে। এশিয়াতে তখন খুব বেশি ডাইনোসার এর বিচরণ ছিল না। যত গুলি ডাইনোসার এর ফসিল (fossil) পাওয়া গেছে এই পর্যন্ত বেশির ভাগই এশিয়ার বাইরে।
বেদ, পুরাণ, রামায়ণ এবং মহাভারতে ও আমরা এই ডাইনোসার এর উপস্থিতি লক্ষ্য করি; উদাহরণ হিসাবে:
বাল্মিকি মুনি তাঁর শিষ্য রাম ও লক্ষণকে নিয়ে মুনির আশ্রমে যাবার পথে কিছু উড়ন্ত রাক্ষস এর কবলে পড়েন; ভগবান রাম বীরত্বের সাথে সেই রাক্ষসগুলিকে নিধন করেন। এই উড়ন্ত রাক্ষসগুলি ছিল ডাইনোসার।
রামায়ণের জটায়ু পক্ষীর যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা প্রকৃত পক্ষে এক জাতের ডাইনোসার।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কালীয় নাগ দমন; এই কালীয় নাগ ছিল ডাইনোসার।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পঞ্চনাগও এক প্রকারের ডাইনোসার।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্বারা বকাসুর নিধন হয়; এই বকাসুর ছিল এক জাতের ডাইনোসার।
পৌরানিক যুগে এক উড়ন্ত রাক্ষসকে ভগবান ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর মিলে নিধন করেছিলেন; সেই উড়ন্ত রাক্ষসটি ছিল এক জাতের ডাইনোসার (সম্ভবত ঈগল প্রজাতির ডাইনোসার)।
- ভগবান বিষ্ণু সাগরে যে সাপ এর উপর ভেসে আছেন এবং যোগ নিদ্রায় শায়িত আছেন তাও এক প্রকার ডাইনোসার।
গ্রহানুর আক্রমণে যখন ডাইনোসাররা মারা যায় তখন কিছু সামুদ্রিক ও উড়ন্ত ডাইনোসার আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ হতে এশিয়াতে প্রাণ নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিল। যা আমাদের বেদ, পুরাণ, রামায়ণ এবং মহাভারতের বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণ পাওয়া যায়।
আমি আমার সীমিত জ্ঞান দ্বারা বর্ণনা করার চেষ্টা করলাম নিরাকার মহাশক্তি, সৃষ্টি, পৃথিবীর উৎপত্তি ও ডাইনোসার নিয়ে যা দ্বারা বিজ্ঞানের সাথে আমাদের সনাতনের মিল খুঁজে পয়া যায়। বিজ্ঞান হলো প্রমাণিত সত্যি তাই আমরা বিজ্ঞানকেও “সনাতন” বলি।
যে সব সনাতনি বন্ধুরা সনাতনের সত্যতা খুঁজেন এবং দ্বিধা বিভক্ত তাঁরা দয়া করে এই লেখাটা পড়ুন এবং খোঁজার চেষ্টা করুন পৃথিবীতে কোন ধর্মে সৃষ্টি ও স্রষ্টার এত সুন্দর ও প্রমাণিত সত্যতার বর্ণনা রয়েছে।
আমি যতটুকু জানি তা এক সমুদ্রের মধ্যে এক বিন্দু জল এর চেয়েও কম। সুতরাং বলার অপেক্ষা রাখে না সনাতন কতো বিশাল কতো বেশি তথ্য সমৃদ্ধ। কেন এত জ্ঞান ছেড়ে অন্য স্থাণে খুঁজে ফিরবেন নিজের ঠিকানা?
No comments:
Post a Comment