Wednesday, March 15, 2017

৮৪ লক্ষ বার জন্মগ্রহন

সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা ভগবানের আদেশে আমাদের এই ব্রহ্মাণ্ডে কত ধরনের এবং প্রকৃতির জীব সৃষ্টি করলেন? সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা আমাদের এই ব্রহ্মাণ্ডে ভগবানের আদেশে দুই ধরনের জীব সৃষ্টি করলেন.
1. স্থাবব: যারা চলাফেরা করতে পারে না একস্থানেই থাকে.
২. জঙ্গম: যারা স্থান থেকে স্থানান্তরে চলাফেরা
করতে পারে. এবং এই স্থাবর ও অস্থাবর জীবের
মধ্যে মোট 84 লক্ষ প্রজাতির জীব সৃষ্টি করলেন.
নিম্নে প্রজাতিগুলো দেওয়া হলো:
1.জলজ জীব 9 লক্ষ রকম
২. গাছপালা ২0 লক্ষ রকম
3.কীটপতঙ্গ 11 লক্ষ রকম
4. পাখী 10 লক্ষ রকম
5.পশু 30 লক্ষ রকম
6.মানুষ 4 লক্ষ রকম (+ +) মোট = 84 লক্ষ রকম
বিদ্র: 80 লক্ষ প্রজাতির জীবকে মানবেতর প্রাণী বলা হয়. জীব 84 লক্ষ বার জন্ম-মৃত্যুর পরে এসে মানব
কুলে জন্ম পায়. চুরাশি লক্ষ যোনি ভ্রমণ সম্পর্ককে- পুরাণাদি শাস্ত্রে যা আছে তার বিবরণঃ-
30 লক্ষ বার বৃক্ষ যোনিতে জন্ম হয়. এটাতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়. রুদ্রের তাপ লাগে, ঝড় বৃষ্টির ফলে ডালপালা ভাঙ্গে. শীতকালে সব পাতা ঝরে যায়, কুঠার দিয়ে কাটা হয়. আরো অনেক প্রকার কষ্ট পায়.
তারপর জলচর রুপে জন্ম হয়. এই রুপে 9 লক্ষবার জন্ম হয়. হাত নেই, পা নেই শুধু দেহ আর মাথা. খায় পচা মাংস আর যা পায়. একজনের মাংস আরেকজন খেয়ে জীবন রক্ষা করে.
তারপর ক্রিমি যোনি. 10 লক্ষ বার জন্মে. 1 লক্ষবার পাখি রূপে. তাদের ঘর বাড়ি নেই. গাছে গাছে থাকে. জোক, পোকা, পচা গলা যা পায় তা খায়. নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাওয়ায়. যখন সন্তান উড়তে পারে তখন আর ফিরেও তাকায় না. যদি কাক আর শকুনি হয়ে জন্মায় তবে অনেকদিন বেচে থাকে.
২0 লক্ষবার পশু যোনি. নানা পশু নানা কষ্ট পায়. কোনো পশু হিংস্র পশু দ্বারা আক্রান্ত. কেউ বা লোকালয়ে লুকিয়ে থাকে. কেউ একে অন্যকে মেরে খায়. কেউবা ঘাস তৃণ খায়. হাল চাষে গাড়ি টানায়.
যত রোগশোক হয় দিনরাত মল মুত্রের সাথেই বাস করতে হয়. গো-যোনিতে জন্ম লাভ পশুর মধ্যে
শ্রেষ্ঠ গো-র শেষ আর পশু জন্ম নেই. তারপর মানব কুলেতে জন্ম 4 লক্ষ বার. বনের মানুষ বনের মধ্যে তারা পশুসম খাবার খায় তাদের আত্ম-পর জ্ঞান নেই. তারপর পাহাড়িয়া জাতির জন্ম হয়. নাগা, কুকি, সাওতালি. তারপর জন্ম হয় অধম কুলে. তারা দেবধর্মমানেনা. অপকর্ম করে. মদ্য পান করে.
তারপর শুদ্রুকুলে জন্ম. যা কর্ম করে তা নিজেই ভোগ করে. কেউ অন্ধ, কেউ কানে শুনেনা ইত্যাদি হয়. কারো স্বভাব ভাল হয় কর্মগুণে. তারপর জন্মায় বৈশ্য জাতি কুলে. কর্ম অনুযায়ি ফল ভোগ করে ওরা. তারপর ক্ষত্রিয়. কর্ম ফলে ফল ভাগি হয়. অবশেষে ব্রাহ্মণকুলে জন্মায়. এখানে আর
একাধিকবার জন্ম হয়না. উত্তম ব্রাহ্মণ জন্ম তার শ্রেষ্ঠ. ব্রহ্মজ্ঞান থাকলেই সে ব্রাহ্মণ. নিজের উদ্ধারে সে আত্মজ্ঞান লাভ করে. শুধু ব্রাহ্মণ কুলে জন্মালেই উদ্ধার হওয়া যায়না. যদি সে জ্ঞান লাভ করতে
না পারে তবে পুনরায় সে 84 লক্ষ যোনি পদে ঘুরে. বারবার জন্মলাভে কষ্ট পায়. আর কোনো উপায়
নেই যদিনা ভগবানের শরণাগত হয়.

No comments:

Post a Comment