Monday, October 7, 2013

প্রশ্নঃ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ১৬০০০ এর ও অধিক(১৬১০৮) মহিষী থাকার কারন কী?

উত্তরঃ অন্য ধর্মাবলম্বী এমন কি সনাতনী হিন্দুরা ও না জেনে এ নিয়ে হেসে থাকি. এর ভাবার্থ ও তাৎপর্য অনেক গভীর. এই 16000 এর ও অধিক যুবতী কুমারীদের নরকাসুর নামক এক অসুর অপহরণ এবং বন্দী করেন. ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নরকাসুরকে হত্যা করেন এবং সমস্ত বন্দী রমণীদের মুক্ত করে দেন. তৎকালীন সমাজের কাঠোর নিয়মানুযায়ী, সকল বন্দী রমণীই সমাজে নিম্নসম্মানের স্তরে নেমে গিয়েছিলেন (যেমন করে রামায়নে মা সীতাকে ও বনবাসে পাঠানো হয়েছিল) এবং তাদের বিয়েও অসম্ভব কারন তারা নরকাসুরের কাছে বন্দী ছিল. যাই হোক শ্রীকৃষ্ণ তাদের সন্মান বাঁচাতে সকলকেই বিয়ে করলেন এবং সমাজে তাদের সন্মান পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করলেন. 16000 এর ও অধিক নারীকে একইসাথে বিয়ে করা নারীর গণপুনর্বাসনের চেয়েও বেশী কিছু. আর তারাই তার মহিষী নামে পরিচিত হলেন. যদি ও তারা এমনিতে ও গোপী ছিলেন, তাদের মনের একান্ত ইচ্ছে ছিল ভগবানকে স্বামী হিসেবে পাবার. অন্য দৃষ্টিতে ভগবান তাদের ইচ্ছে ও পূরণ করলেন. সেই দৃষ্টিতে ভগবান ভক্তের ইচ্ছে সর্বদা পূরণ করেন.
আবার শ্রীকৃষ্ণের এমন লীলায় একটি সংযোগ দেখা যায়. যখন তিনি 16000 এর ও অধিক নারীকে প্রথা মেনে বিয়ে করলেন, নারীরা ও শ্রদ্ধা এবং সন্মানের প্রতীক হতে পারেন তা সমাজের যতই খারাপ অবস্থা হোক না কেন. রামায়নের মাতা সীতার 'অগ্নি পরীক্ষা' অনেকে ভুল বুঝলেও ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই 16100 রমনীকে স্ত্রী হিসেবে পরিচিত হবার সন্মান প্রদান করেছেন এবং পুরুষদের উপর নারীর সন্মান রক্ষার দায়িত্বও তিনি প্রমান করে দিলেন. সবই তার লীলা. তিনি তার লীলার মধ্যে দিয়ে জীবে শিক্ষা দিয়ে গেছেন. রাজ্য জয় করেছেন, আর রাজা করেছেন অন্য একজনকে. এতে শিখিয়েছেন কর্মফল ত্যাগ করা. হরে কৃষ্ণ.

No comments:

Post a Comment