একবার সব জায়গায় রাধারানীর স্তুতি শুনে দেবর্ষি নারদ মনে মনে ভাবতে লাগলেন , আমিও তো ভগবানের একনিষ্ঠ ভক্ত এবং উনাকে অগাধ প্রেম করি , তাহলে কেউ আমার নাম কেন নেয়না ?কেন সবাই রাধে রাধে বলে ?
নারদ জী উনার মনের এই ব্যথা নিয়ে একদিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে গেলেন । সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখেন ভগবান প্রচন্ড মাথা ব্যথায় ছটফট করছেন । নারদ জী প্রনাম করে বলতে লাগলেন , " ভগবান এই মাথা ব্যথার কোন উপচার আছে কি ? যদি আমার রিদয়ের রক্ত দিয়ে ব্যথাকে শান্ত করা যায় , তাহলে আমি আমার বুক ছিড়ে রক্ত দান করতে পারি ।"
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন , " তার কোন প্রয়োজন নাই নারদ । আমার যে কোন একজন ভক্ত যদি তার চরন ধূয়ে সেই চরনের জল অর্থাৎ ভক্তের চরনামৃত আমাকে সেবা করায় , তবেই আমার এই মাথা ব্যথা ভাল হবে ।"
নারদ জী ভাবতে লাগলেন , এ তো ঘোর অপরাধ হয়ে যাবে , ভক্তের চরন জল ভগবান সেবা করবে , এটা আমি পারবো না ।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নারদ জী কে প্রথমে রুক্মিনীর কাছে পাঠালেন । রুক্মিনী জী নারদের কথা শুনে আকাশ থেকে পরলেন । বললেন , হে মুনিবর , আপনি কি বলছেন এইসব ? আমি পারবো না আমার চরন জল ভগবান কে সেবা করাতে , তাহলে আমি নরকেও ঠাঁই পাবো না ।" নারদ জী ফিরে এলেন ভগবানের কাছে । এসে ভগবান কে সব বললেন । তখন ভগবান নারদ জী কে শ্রীমতি রাধারানীর কাছে পাঠালেন ।
নারদ জী শ্রীমতি রাধারানীর কাছে গিয়ে সব কথাই বললেন । রাধারানী সঙ্গে সঙ্গে একটি পাত্র নিয়ে আসলেন এবং নিজের চরন ধূয়ে সেই চরন জল নারদ জী কে দিয়ে বললেন , " হে মুনিবর , আমি জানি এটা খুবই অপরাধ মূলক কাজ , কিন্তু আমি আমার প্রিয়তমের কষ্টের লাঘব করার জন্য রৌরব নরকে অনন্তকাল যাতনা ভোগ করতেও রাজী আছি । আপনি তাড়াতাড়ি এই চরন জল নিয়ে যান এবং উনাকে সেবা করান । "
তখন দেবর্ষি নারদ বুঝতে পারলেন যে , কেন সবাই রাধে রাধে বলেন । নারদ জী সঙ্গে সঙ্গে শ্রীমতি রাধারানীর চরনে প্রনতি নিবেদন করে বলতে লাগলেন , " হে মাতা , এই জগতে আপনার মতো শ্রেষ্ঠ ভক্ত আর নাই । আমি এতদিন নিজেকে প্রভুর শ্রেষ্ঠ ভক্ত মনে করতাম , কিন্তু আজ বুঝতে পারলাম কেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আগে আপনাকে সবাই আরাধনা করে ।"
নারদ জী উনার মনের এই ব্যথা নিয়ে একদিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে গেলেন । সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখেন ভগবান প্রচন্ড মাথা ব্যথায় ছটফট করছেন । নারদ জী প্রনাম করে বলতে লাগলেন , " ভগবান এই মাথা ব্যথার কোন উপচার আছে কি ? যদি আমার রিদয়ের রক্ত দিয়ে ব্যথাকে শান্ত করা যায় , তাহলে আমি আমার বুক ছিড়ে রক্ত দান করতে পারি ।"
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন , " তার কোন প্রয়োজন নাই নারদ । আমার যে কোন একজন ভক্ত যদি তার চরন ধূয়ে সেই চরনের জল অর্থাৎ ভক্তের চরনামৃত আমাকে সেবা করায় , তবেই আমার এই মাথা ব্যথা ভাল হবে ।"
নারদ জী ভাবতে লাগলেন , এ তো ঘোর অপরাধ হয়ে যাবে , ভক্তের চরন জল ভগবান সেবা করবে , এটা আমি পারবো না ।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নারদ জী কে প্রথমে রুক্মিনীর কাছে পাঠালেন । রুক্মিনী জী নারদের কথা শুনে আকাশ থেকে পরলেন । বললেন , হে মুনিবর , আপনি কি বলছেন এইসব ? আমি পারবো না আমার চরন জল ভগবান কে সেবা করাতে , তাহলে আমি নরকেও ঠাঁই পাবো না ।" নারদ জী ফিরে এলেন ভগবানের কাছে । এসে ভগবান কে সব বললেন । তখন ভগবান নারদ জী কে শ্রীমতি রাধারানীর কাছে পাঠালেন ।
নারদ জী শ্রীমতি রাধারানীর কাছে গিয়ে সব কথাই বললেন । রাধারানী সঙ্গে সঙ্গে একটি পাত্র নিয়ে আসলেন এবং নিজের চরন ধূয়ে সেই চরন জল নারদ জী কে দিয়ে বললেন , " হে মুনিবর , আমি জানি এটা খুবই অপরাধ মূলক কাজ , কিন্তু আমি আমার প্রিয়তমের কষ্টের লাঘব করার জন্য রৌরব নরকে অনন্তকাল যাতনা ভোগ করতেও রাজী আছি । আপনি তাড়াতাড়ি এই চরন জল নিয়ে যান এবং উনাকে সেবা করান । "
তখন দেবর্ষি নারদ বুঝতে পারলেন যে , কেন সবাই রাধে রাধে বলেন । নারদ জী সঙ্গে সঙ্গে শ্রীমতি রাধারানীর চরনে প্রনতি নিবেদন করে বলতে লাগলেন , " হে মাতা , এই জগতে আপনার মতো শ্রেষ্ঠ ভক্ত আর নাই । আমি এতদিন নিজেকে প্রভুর শ্রেষ্ঠ ভক্ত মনে করতাম , কিন্তু আজ বুঝতে পারলাম কেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আগে আপনাকে সবাই আরাধনা করে ।"
No comments:
Post a Comment