মুসলিম ভাই বোনরা অনেক সময় সনাতন ধর্মাবলম্বী মুর্তি পূজা সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বাজে মন্তব্য এবং ভ্রান্ত প্রশ্ন থাকে। তেমনি একটি প্রশ্ন আমার আজকের এ লেখা। পুরু মনোযোগ সহকারে পড়লে কিছু উপকৃত হবে।
শুভ প্রনাম ত্রিবেতি ইসলাম সরকার আপনি কি প্রশ্ন করেছেন সনাতনী দেবতার মাটির তৈরি, কেন হিন্দুরা এ মাটির তৈরি দেবতাদের পূজা করে? মানুষের তৈরি মূর্তি পূজা কেন করা হয়, যার একটি মাংস সরাবার ক্ষমতা নেই।
আপনার এ প্রশ্ন মূলত আপনার অজ্ঞানতার ফসল, যা সনাতন ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাব এসেছে। আলোচনার মাধ্যমে আমি অজানা একটু জ্ঞানকে চেষ্টা করবো
প্রথম আসি দেবতা কী? পরমেশ্বরের সৃষ্টির এক একটি শক্তি হচ্ছে এক একটি দেবতা। যেমন আলোর দেবতা সূর্য, জলের দেবতা বরুন, বজ্র দেব দেবতা ইন্দ্র, বাতাসের দেবতা পাবন, আগুনের দেবতা অগ্নি, শক্তির দেবী কালী, জ্ঞানার দেবী স্বরসতি, ধন ও সৌন্দর্যের দেবী লক্ষ্মী ইত্যাদি। এরা কেউ মানুষ না, মাটির তৈরী নয় বা মানুষও তৈরী নয় এরা সকলেই এক এক শক্তি
এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারেন এ সব শক্তিগুলি মানুষ মত মাটির সঙ্গে সনাতনীজন কেন পূজা করা হয়?
এর উত্তরে বলব- সনাতন ধর্মমত পৃথিবীর সব চেয়ে প্রাচীন, সহজ এবং সঠিক মত। কখন মানব সভ্যতার দাঁড়ান না সে সময় মানুষ ঈশ্বর সম্পর্কে জানেন না তারা দেখে কিছু জিনিষ তাদের খুব উপকার করে যেমন: সূর্য, চন্দ্র, গাছ, গরু, বাতাস, আগুন, জল, পাথর। আবার কিছু কিছু জিনিস তাদের খুব ক্ষতি করে যেমন- ঝড়, আগুন ইত্যাদি বজ্রপাত, সাপ, রোগব্যাধি ইত্যাদি। মানুষ চিন্তায় তাদের যদি তাদের দলে রাখা যায় তবে মানুষকে সুখী জীবন কাটা সম্ভব। এদেরকেই মানুষ দেবশক্তি বা দেবতা বলা যায়।
মানুষ ভাবল, যেমন প্রশংসা শোনালে এবং খাবার পানিতে খুশী হয়, ঠিক একইভাবে দেবতার প্রশংসায় শ্রদ্ধা ও উপভোগ করুন। সে থেকে প্রথম পূজার প্রচলন শুরু হয়।
এই দেবতার পূজা দেবার আগে তাদের আনার জন্য কারণ, কারণ সামনে সামনে দেব দেবতা তার প্রশংসা করা কিভাবে? তাই মানুষ দেবতাদের মুর্তি গড়ার সিদ্ধান্ত নিল মুর্তি গড়ার ক্ষেত্রেও বৈচিত্র আছে যেমন সূর্য চতুর্দিকের আলোকে তার চার হাত, দূর্গা দশ দিক থেকে রক্ষা করে এ জন্য তার দশ হাত ইত্যাদি। এভাবে মুর্তি পূজার প্রচলন শুরু হয়। যখন মানুষের মধ্যে জ্ঞান বিকাশ শুরু এবং মানুষ বুঝতে পারলে একটি জগতে একজন স্রষ্টা আছে যারা অকৃতকারক, বড যাকে ব্রহ্ম বলা হয়। তিনি সব দেবতাদেরও সৃষ্টিকর্তা তাকে পেলে আর কিছু পাওয়ার বাকি থাকে না তিনি সর্বপ্রশীলদের পাওয়ার জন্য ধ্যানই একমাত্র পথ তখন থেকে মানুষ যুগ্মে স্বচৈতন্য জাগ্রত করার মাধ্যমে সেই পরমব্রহ্মের উপাসনা করার মাধ্যমে ব্রহ্মময় হয়ে উঠল।
সাকর পূজা থেকে অকার্যকর উপাসনে আসা মানুষকে কয়েক কোটি বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে এবং জন্ম নিয়েছে হাজারো ধর্ম মত।
মূলত অরূপোর উপাসনাই উত্তম। কিন্তু অকার্যকরে যেতে হলে প্রথম সাকার উপাসনার আশ্রয় নিতে হয়। সনাতনীগণ কেবল মাটির মুর্তিটি সাকার পূজা করিত না, পট পটসহ দশটি অদরতে তারা সাকার পূজা করত।
শুধু যে সনাতনীইয়ইয়াকারের উপাসনা করে না কিন্তু নয়। পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মের অনুসারীগণে প্রথম সকারবাদিনী উদাহরণস্বরূপ স্বরূপ যদি ইসলামের কথা ধরি। ইসলাম ধর্মে হেরাম শরীফ বা ক্বলা মুখি হয়ে সালাত আদায় করতে বলা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে স্রষ্টা তাই সর্বত্রই হ'ল, হিন্দুদের দেবালয় বলবে কি ক্বলবার দিকে মুখ কি কেন সালাদ করতে হবে?
কি পাড়ের আদিগূলি দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখার জন্য নিয়ত করা হবে? কেন মুসলমানদের স্রষ্টা পাক কদম বাদ দিয়ে জ্যানামাজে সজদা দেয়? কেন একটি সামান্য পাথর হযরত আযিদকে পবিত্র পাথর মনে চুম্বন করতে গিয়ে প্রান পর্যন্ত বিসরণ করা হয়? কেন মরিয়ম পায়ের গোড়ালির আঘাতে তৈরি ঝর্নার পানি সবচেয়ে পবিত্র বলে পান? কেন হজ্ব করা তোয়া দোয়া পাহাড়ে তোয়াব কি? কেন একটি অমুসলিম ইব্রাহিককে জাতির পিতাকে বলা হয়? কেন মারফত শ্রেষ্ঠটা স্বতঃও শরিয়ত নিয়ে কড়াকড়ি কের? কেন দো'আ নবীর সনে মিল্লাদ পড়া এবং নবীর সালাম প্রদান পূর্বক প্রশংসা? এর কি কোন উত্তর আপনার কাছে আছে?
যেভাবে মারফত শ্রেষ্ঠটি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শরিয়ত শুরুর দিকে দাঁড়িয়েছিল তরিকত আশ্রয় নিয়ে হাকিকতার অর্জন পূর্বক মারফটি হতে হয়। তাদরে সাকর পূজার মাধ্যমে মন দৃঢ়তা এনে অশোকরে যেতে হয়।
এই প্রসঙ্গে বিশ্ব বিবেক বিবেকানন্দ বলেছেন "পুতুল পূজা হিন্দু কাঠ মাটি দিয়ে গড়া, মৃন্ময় মাঝে চিন্তায় হিরী হয়ে আত্মহত্যা।"
মাটি বিহারের মাঝে চিন্তায় পরমব্রহ্ম উপলব্ধি করা সনাতনীগণ আত্মহারা হয়ে গেছে।
মাটির তৈরী মুর্তি পূজা কিন্তু শুধু সনাতনীগই কর না পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে "মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত।" কুরআন মাতা-পিতার সেবা করা এবং তাদের পায়ে সিজদা ও চুম্বন করাও বলা আছে। মা-বাবা কি মাটি তৈরী না? মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সালাত আদায় করলেন।
অকার্যকর পরম ব্রহ্মের উপাসনার মতো কোনো বিকল্প নেই তদ্রুপ অকার্যকর হয়ে গেলে এবং মনের স্থিরতার জন্য প্রথম সাকার পুজো আবশ্যক।
আশা করছি কিছুটা উপলব্ধি করা আপনার প্রভু আপনার সার্বিক মঙ্গলের জন্য
শুভ প্রনাম ত্রিবেতি ইসলাম সরকার আপনি কি প্রশ্ন করেছেন সনাতনী দেবতার মাটির তৈরি, কেন হিন্দুরা এ মাটির তৈরি দেবতাদের পূজা করে? মানুষের তৈরি মূর্তি পূজা কেন করা হয়, যার একটি মাংস সরাবার ক্ষমতা নেই।
আপনার এ প্রশ্ন মূলত আপনার অজ্ঞানতার ফসল, যা সনাতন ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাব এসেছে। আলোচনার মাধ্যমে আমি অজানা একটু জ্ঞানকে চেষ্টা করবো
প্রথম আসি দেবতা কী? পরমেশ্বরের সৃষ্টির এক একটি শক্তি হচ্ছে এক একটি দেবতা। যেমন আলোর দেবতা সূর্য, জলের দেবতা বরুন, বজ্র দেব দেবতা ইন্দ্র, বাতাসের দেবতা পাবন, আগুনের দেবতা অগ্নি, শক্তির দেবী কালী, জ্ঞানার দেবী স্বরসতি, ধন ও সৌন্দর্যের দেবী লক্ষ্মী ইত্যাদি। এরা কেউ মানুষ না, মাটির তৈরী নয় বা মানুষও তৈরী নয় এরা সকলেই এক এক শক্তি
এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারেন এ সব শক্তিগুলি মানুষ মত মাটির সঙ্গে সনাতনীজন কেন পূজা করা হয়?
এর উত্তরে বলব- সনাতন ধর্মমত পৃথিবীর সব চেয়ে প্রাচীন, সহজ এবং সঠিক মত। কখন মানব সভ্যতার দাঁড়ান না সে সময় মানুষ ঈশ্বর সম্পর্কে জানেন না তারা দেখে কিছু জিনিষ তাদের খুব উপকার করে যেমন: সূর্য, চন্দ্র, গাছ, গরু, বাতাস, আগুন, জল, পাথর। আবার কিছু কিছু জিনিস তাদের খুব ক্ষতি করে যেমন- ঝড়, আগুন ইত্যাদি বজ্রপাত, সাপ, রোগব্যাধি ইত্যাদি। মানুষ চিন্তায় তাদের যদি তাদের দলে রাখা যায় তবে মানুষকে সুখী জীবন কাটা সম্ভব। এদেরকেই মানুষ দেবশক্তি বা দেবতা বলা যায়।
মানুষ ভাবল, যেমন প্রশংসা শোনালে এবং খাবার পানিতে খুশী হয়, ঠিক একইভাবে দেবতার প্রশংসায় শ্রদ্ধা ও উপভোগ করুন। সে থেকে প্রথম পূজার প্রচলন শুরু হয়।
এই দেবতার পূজা দেবার আগে তাদের আনার জন্য কারণ, কারণ সামনে সামনে দেব দেবতা তার প্রশংসা করা কিভাবে? তাই মানুষ দেবতাদের মুর্তি গড়ার সিদ্ধান্ত নিল মুর্তি গড়ার ক্ষেত্রেও বৈচিত্র আছে যেমন সূর্য চতুর্দিকের আলোকে তার চার হাত, দূর্গা দশ দিক থেকে রক্ষা করে এ জন্য তার দশ হাত ইত্যাদি। এভাবে মুর্তি পূজার প্রচলন শুরু হয়। যখন মানুষের মধ্যে জ্ঞান বিকাশ শুরু এবং মানুষ বুঝতে পারলে একটি জগতে একজন স্রষ্টা আছে যারা অকৃতকারক, বড যাকে ব্রহ্ম বলা হয়। তিনি সব দেবতাদেরও সৃষ্টিকর্তা তাকে পেলে আর কিছু পাওয়ার বাকি থাকে না তিনি সর্বপ্রশীলদের পাওয়ার জন্য ধ্যানই একমাত্র পথ তখন থেকে মানুষ যুগ্মে স্বচৈতন্য জাগ্রত করার মাধ্যমে সেই পরমব্রহ্মের উপাসনা করার মাধ্যমে ব্রহ্মময় হয়ে উঠল।
সাকর পূজা থেকে অকার্যকর উপাসনে আসা মানুষকে কয়েক কোটি বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে এবং জন্ম নিয়েছে হাজারো ধর্ম মত।
মূলত অরূপোর উপাসনাই উত্তম। কিন্তু অকার্যকরে যেতে হলে প্রথম সাকার উপাসনার আশ্রয় নিতে হয়। সনাতনীগণ কেবল মাটির মুর্তিটি সাকার পূজা করিত না, পট পটসহ দশটি অদরতে তারা সাকার পূজা করত।
শুধু যে সনাতনীইয়ইয়াকারের উপাসনা করে না কিন্তু নয়। পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মের অনুসারীগণে প্রথম সকারবাদিনী উদাহরণস্বরূপ স্বরূপ যদি ইসলামের কথা ধরি। ইসলাম ধর্মে হেরাম শরীফ বা ক্বলা মুখি হয়ে সালাত আদায় করতে বলা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে স্রষ্টা তাই সর্বত্রই হ'ল, হিন্দুদের দেবালয় বলবে কি ক্বলবার দিকে মুখ কি কেন সালাদ করতে হবে?
কি পাড়ের আদিগূলি দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখার জন্য নিয়ত করা হবে? কেন মুসলমানদের স্রষ্টা পাক কদম বাদ দিয়ে জ্যানামাজে সজদা দেয়? কেন একটি সামান্য পাথর হযরত আযিদকে পবিত্র পাথর মনে চুম্বন করতে গিয়ে প্রান পর্যন্ত বিসরণ করা হয়? কেন মরিয়ম পায়ের গোড়ালির আঘাতে তৈরি ঝর্নার পানি সবচেয়ে পবিত্র বলে পান? কেন হজ্ব করা তোয়া দোয়া পাহাড়ে তোয়াব কি? কেন একটি অমুসলিম ইব্রাহিককে জাতির পিতাকে বলা হয়? কেন মারফত শ্রেষ্ঠটা স্বতঃও শরিয়ত নিয়ে কড়াকড়ি কের? কেন দো'আ নবীর সনে মিল্লাদ পড়া এবং নবীর সালাম প্রদান পূর্বক প্রশংসা? এর কি কোন উত্তর আপনার কাছে আছে?
যেভাবে মারফত শ্রেষ্ঠটি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শরিয়ত শুরুর দিকে দাঁড়িয়েছিল তরিকত আশ্রয় নিয়ে হাকিকতার অর্জন পূর্বক মারফটি হতে হয়। তাদরে সাকর পূজার মাধ্যমে মন দৃঢ়তা এনে অশোকরে যেতে হয়।
এই প্রসঙ্গে বিশ্ব বিবেক বিবেকানন্দ বলেছেন "পুতুল পূজা হিন্দু কাঠ মাটি দিয়ে গড়া, মৃন্ময় মাঝে চিন্তায় হিরী হয়ে আত্মহত্যা।"
মাটি বিহারের মাঝে চিন্তায় পরমব্রহ্ম উপলব্ধি করা সনাতনীগণ আত্মহারা হয়ে গেছে।
মাটির তৈরী মুর্তি পূজা কিন্তু শুধু সনাতনীগই কর না পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে "মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত।" কুরআন মাতা-পিতার সেবা করা এবং তাদের পায়ে সিজদা ও চুম্বন করাও বলা আছে। মা-বাবা কি মাটি তৈরী না? মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সালাত আদায় করলেন।
অকার্যকর পরম ব্রহ্মের উপাসনার মতো কোনো বিকল্প নেই তদ্রুপ অকার্যকর হয়ে গেলে এবং মনের স্থিরতার জন্য প্রথম সাকার পুজো আবশ্যক।
আশা করছি কিছুটা উপলব্ধি করা আপনার প্রভু আপনার সার্বিক মঙ্গলের জন্য
No comments:
Post a Comment