অনেক মুসলমানই শিবকে
নিয়ে
এই
ভাবে
কটুক্তি করে
যে,
শিব
গাঁজা
খায়,
আর
গাঁজাখোর শিবকে
হিন্দুরা পূজা
করে,
ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।
যারা এই
ভাবে
কটূক্তি করে,
তারা
জানে
না
শিবের
আসল
পরিচয়
এবং
তারা
এটাও
জানে
না
যে,
গাঁজা
আসলে
কোনো
মাদকদ্রব্য নয়।
এই
দুটি
বিষয়
সবার
কাছে
পরিষ্কার হবে,
আজকের
এই
পোস্টে।
প্রথমেই বলি
শিব
কে
?
হিন্দুশাস্ত্র মতে,
সৃষ্টিকর্তা বা
ঈশ্বর
হলো
পরমব্রহ্ম, যাকে
শুধু
ব্রহ্মও বলা
হয়।
পরমাত্মারূপে এই
ব্রহ্ম
সবকিছুর মধ্যে
বিরাজিত, এই
জন্যই
হিন্দু
শাস্ত্রে বলা
হয়েছে,
“সর্বং
খল্বিদং ব্রহ্ম”
এর অর্থ
হলো-
সকলের
মধ্যে
ব্রহ্ম
বিদ্যমান। - (ছান্দোগ্য উপনিষদ,
৩/১৪/১, বেদান্ত দর্শন)
পরমব্রহ্ম, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর, এই তিনটি রূপে
তার
কাজ
সম্পন্ন করে
থাকেন।
ব্রহ্ম,
যখন
সৃষ্টি
করেন,
তখন
তার
নাম
ব্রহ্মা; যখন
তিনি
পালন
করেন,
তখন
তার
নাম
বিষ্ণু;
যখন
তিনি
বিনাশ
করেন,
তখন
তার
নাম
শিব
বা
মহেশ্বর। কিন্তু
আমরা
স্থূল
দৃষ্টিকোন থেকে
বিবেচনা করে
ব্রহ্ম
বা
ঈশ্বরকে বিভক্ত
করে-
ব্রহ্মা, বিষ্ণু
ও
মহেশ্বরে এই
তিনভাগে বিভক্ত
করেছি
এবং
এই
তিনটি
সত্ত্বাকে আলাদা
আলাদা
তিনটি
রূপ
দান
করেছি।
প্রকৃতপক্ষে- ব্রহ্মা, বিষ্ণু,
মহেশ্বর আলাদা
কোনো
সত্ত্বা নয়,
এগুলো
জাস্ট
তিনটি
নাম
এবং
এই
তিনটি নাম
পরমব্রহ্ম বা
ঈশ্বরের তিনটি
কার্যকরী রূপের
নাম
মাত্র।
No comments:
Post a Comment