Tuesday, September 24, 2013

কুমারী পূজা কেন করা হয় ? আসুন জেনে নিই -------

আমরা কেন কুমারী পূজা করি আসুন জেনে নিই|

-------কলি যুগের সব থেকে বড় যজ্ঞ হচ্ছে দুর্গোৎসব এই দুর্গোৎসবের একটি বড় অঙ্গ হচ্ছে কুমারী পূজা কুমারী পূজা নিয়ে আমাদের মধ্যে যেন কৌতূহলের কমতি নেই
ভারত বাংলাদেশের রামকৃষ্ণ মিশনসহ বেশ কিছু ঐতিহ্যবাহী মন্দিরে অষ্টমীর মহাতিথিতে এই কুমারী পূজা হয়ে থাকে। শাস্ত্রকাররা নারীকে সন্মান শ্রদ্ধা করতে এই পূজা করতে বলেছেন। আমাদের সনাতন ধর্ম নারীকে সন্মানের শ্রেষ্ঠ আসনে বসানো হয়েছে।নিজেদের পশুত্বকে সংযত রেখে নারীকে সন্মান জানাতে হবে”- এটাই কুমারী পূজার মূল লক্ষ্য। এ সম্পর্কিত আরো বিভিন্ন গ্রন্থে জানতে  পারবেন |

***এখানে কিসুটা ধারণা দিয়া হল 

বৃহদ্ধর্মপুরাণ- রামের জন্য ব্রহ্মার দুর্গাপূজার বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। তখন শরৎকাল, দক্ষিণায়ণ তাই, ব্রহ্মা স্তব করে দেবীকে জাগরিত করলেন। দেবী তখন কুমারীর বেশে এসে ব্রহ্মাকে বললেন, বিল্ববৃক্ষমূলে দুর্গার বোধন করতে। দেবতারা মর্ত্যে এসে দেখলেন, এক দুর্গম স্থানে একটি বেলগাছের শাখায় সবুজ পাতার রাশির মধ্যে ঘুমিয়ে রয়েছে একটি তপ্তকাঞ্চন বর্ণা বালিকা। ব্রহ্মা বুঝলেন, এই বালিকাই জগজ্জননী দুর্গা। তিনি বোধন-স্তবে তাঁকে জাগরিত করলেন। ব্রহ্মার স্তবে জাগরিতা দেবী বালিকামূর্তি ত্যাগ করে চণ্ডিকামূর্তি ধারন করলেন

তন্ত্রসার মতে, “ থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত বালিকারা কুমারী পূজার উপযুক্ত; তাদের অবশ্যই ঋতুমতি হওয়া চলবে না।মেরুতন্ত্রে বলা আছে, “সর্বকামনা সিদ্ধির জন্য ব্রাহ্মণ কন্যা, যশোলাভের জন্য ক্ষত্রিয় কন্যা, ধনলাভের জন্য বৈশ্য কন্যা পুত্র লাভের জন্য শূদ্রকূল জাত কন্যা কুমারী পূজার জন্য যোগ্য।গুণ কর্ম অনুসারেই এই জাতি বা বর্ণ নির্ধারিত হয়। সেইজন্যই প্রচলিত শাস্ত্র অনুসারে, বিভিন্ন মিশন মন্দিরগুলোতে সর্ব মঙ্গলের জন্য ব্রাহ্মণ কন্যাকেই দেবী জ্ঞানে পূজা করা হয়

সকল নারীর মধ্যই বিরাজিত রয়েছে দেবীশক্তি। তবে কুমারী রূপেই মা দুর্গা বিশেষভাবে প্রকটিত হয়েছিলেন। তাই, কুমারী রূপে নারীকে দেবীজ্ঞানে সন্মান জানানোর একটি বাস্তব উদাহরন হচ্ছেকুমারী পূজা
 আমাদের ধর্ম আমাদের নারীকে সন্ম্মান করতে সেখায় এর  থেকে বেশি সন্মান আর কোন ধর্মে নারী কে  দেয়া হইনি। তাই গর্বের সাথে বলুন আমি হিন্দু 

No comments:

Post a Comment