Tuesday, October 21, 2014

অনেকে প্রশ্ন করেন 'ন তস্য প্রতিমা অস্তি', মানে ভগবানের প্রতিমা পূজা/সাকার উপাসনা সনাতন শাস্ত্রে নিষিদ্ধ। তবু কেন আমরা প্রতিমা পূজা করি? তাদের জানার আগ্রহকে স্বাগত জানাই। আসুন শাস্ত্রীয়ভাবে বিষয়টি যাচাই করি

'ন তস্য প্রতিমা অস্তি' - এর অর্থ
'তাঁর (স্রষ্টার / ঈশ্বরের) কোন
প্রতিমা নেই. 'কিন্তু প্রতিমা শব্দের
কী অর্থ?
প্রতিমা অর্থ প্রতিরূপ বা অনুরূপ.
সুতরাং শাস্ত্র বাক্যটির অর্থ দাঁড়ায়
ঈশ্বরের অনুরূপ বা ঈশ্বরের মত কেউ নেই
. একথা আমরা সকল ধর্ম বিশ্বাসীই
স্বীকার করি যে, ঈশ্বর হতে বড়
বা সমকক্ষ কেউ নেই. আর রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুরের ছবিতে শ্রদ্ধা প্রদর্শন
মানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেই
শ্রদ্ধা প্রদর্শন.
আসুন এবার শাস্ত্রীয়ভাবে ভাগবতের
আলোকে বিষয়টা আলোচনা করি.
'' পুরাকালে পৃশ্নি ও তাঁর
পতি প্রজাপতি সুতপা পঁচা পাতা ও বায়ু
ভক্ষনের মাধ্যমে হাজার হাজার বছর
ভগবানের তপস্যা করেছিলেন. তপস্যায়
তুষ্ট হয়ে ভগবান তাদের বর প্রদান
করতে চাইলেন. তারা ভগবানের মত
সন্তান কামনা করলেন. ভগবান তাদের
সেই বর প্রদান করলেন. কিন্তু ভগবান
নিজের মত কাউকে খুঁজে না পেয়ে নিজেই
তাদের সন্তান রূপে জন্ম নিলেন
এবং পৃশ্নিগর্ভ নামে পরিচিত হলেন.
এরপর পৃশ্নি ও সুতপা জন্ম নিলেন
অদিতি ও কশ্যপ রূপে এবং ভগবান সন্তান
হলেন উপেন্দ্র বা বামন রূপে. কিন্তু
যে রূপে ভগবান বর প্রদান করেছিলেন
গত ২ বার সে রূপে আসেননি তাই পৃশ্নি ও
সুতপা তথা দেবকী ও বসুদেবের সন্তান
হিসাবে জন্ম নিলেন চতুর্ভুজ নারায়ন
(পরে শ্রীকৃষ্ণ রূপ ধারণ করেন) রূপে.
এভাবেই ভগবান প্রদেয় প্রতিজ্ঞা পুরণ
করলেন. দেখালেন 'ন তস্য
প্রতিমা অস্তি. '

No comments:

Post a Comment