Tuesday, October 21, 2014

গীতার চতুর্থ অধ্যায়ের ১১তম শ্লোকে ভগবান স্বয়ং বলেছেন

যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাং স্তথৈব ভজাম্যহম্ । মম বর্ত্মানুবর্তন্তে  মনুষ্যাঃ পার্থ সর্বশঃ ॥

অনুবাদ - হে অর্জুন ,যে ব্যক্তি যেভাবে আমাকে ভজন করে ,সে ব্যক্তিকে আমি সেভাবে তুষ্ঠ করি ।

প্রতিউত্তর: ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে বাদ দিয়ে দেব- দেবীর পূজাকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ 'অবিধিপূর্বক' বলেছেন অর্থাৎ,
তা বিধি সম্মত নয়। স্বয়ং ভগবান কি বলেছেন দেখা যাক - হে কৌন্তেয়, যারা অন্য দেবতাদের ভক্ত এবং শ্রদ্ধা সহকারে তাঁদের পূজা করে, প্রকৃত পক্ষে তারা অবিধিপূর্বক আমারই পূজা করে। ....গীতা ৯/২৩

কারা দেবতাদের শরণাগত হয়?

এসম্পর্কে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন- জড় কামনা-বাসনার দ্বারা যাদের জ্ঞান অপহৃত হয়েছে, তারা অন্য দেব- দেবীর শরণাগত হয় এবং তাদের স্বীয় স্বভাব অনুসারে বিশেষ নিয়ম পালন করে দেবতাদের উপাসনা করে। গীতা ৭/২০

দেব-দেবীর উপাসনার মাধ্যমে সেই উপাসকের যে ফল প্রাপ্ত হন, সেই কাম্য বস্তু মূলত কে প্রদান করে থাকেন? ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলিলেন, পরমাত্মা রূপে আমি সকলের হৃদয়ে বিরাজ করি। যখনই কেউ দেবতাদের পূজা করতে ইচ্ছা করে, তখনি আমি সেই ভক্তের তাতেই অচলা শ্রদ্ধা বিধান করি। গীতা 7/21

কারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শরণাগত হয়না?

মুঢ়, নরাধম, মায়ার দ্বারা যাদের জ্ঞান অপহৃত হয়েছে এবং যারা আসুরিক ভাবাপন্ন, সেই সমস্ত দুস্কৃতকারীরা কখনো আমার শরণাগত হয়না। গীতা 7/15

যারা দেব-দেবীর উপাসনা করেন তাদেরকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অল্প বুদ্ধি সম্পন্ন বলেছেন, কারণ তাদের কেউ ভগবানের পরম ধাম বৈকুন্ঠে প্রবেশ করতে পারেন না,
একমাত্র বিষ্ণু/কৃষ্ণ ভক্তই ভগবানের ধামে প্রবেশ করতে পারেন- অল্পবুদ্ধি ব্যক্তিদের আরাধনা লব্ধ সেই ফল অস্থায়ী । দেবপাসকগণ দেবলোক প্রাপ্ত হন, কিন্তু আমার ভক্তেরা আমার পরম ধাম প্রাপ্ত হন । গীতা ৭/২৩

তাহলে গীতায় ভগবান এত বার 'মাম' অর্থাৎ, আমার ভজনা করো বলার পরেও কলির জীবের কেন তা বোধগম্য হয়না? এর কারণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, বহু জন্মের পর তত্বজ্ঞানী ব্যক্তি আমাকে সর্ব কারণের পরম কারণ রূপ জেনে আমার শরণাগত হন। সেইরূপ মহাত্মা অত্যন্ত দুর্লভ। গীতা 7/19

No comments:

Post a Comment