দেখা যাচ্ছে ব্যাঙ্গের ছাতার মত গুরুর জন্ম হচ্ছে এই সমাজে. বেশির ভাগ ভণ্ড এবং প্রতারক দের সদ গুরু ভেবে আমরা তাদের কাছ থেকে দীক্ষা নিচ্ছি কিন্তু বৈদিক শাস্ত্রে দেয়া আছে কারা গুরু হতে পারে না? নিম্নে তা তুলে ধরা হলো:
উত্তর: শ্রীপদ্মপুরাণে বলা হয়েছে-
ষট্ কর্মনিপুণো বিপ্রো মন্ত্রতন্ত্রবিশারদ :.
অবৈষ্ণবো গুরুর্ন স্যাদ্বৈষ্ণবঃ শ্বপচো গুরু ..
"যজন, যাজন, অধ্যয়ন, অধ্যাপন, দান ও প্রতিগ্রহ-এই ছয় কর্মে নিপুণ এবং মন্ত্রতন্ত্রবিশারদ কোনও ব্রাক্ষণও গুরু হতে পারেন না, যদি না তিনি বৈষ্ণব হন. বরং চণ্ডালকুলে আবির্ভূত হয়েও বিষ্ণুভক্তিপরায়ণ ব্যক্তি গুরু হওয়ার যোগ্য .."
শ্রীবিষ্ণুস্মতি গ্রন্থে বলা হয়েছে--
পরিচর্যা-যশোলিপ্সুঃ শিষ্যাদ্ গুরুর্ন হি ..
"শিষ্যের কাছে কেবল সেবা পরিচর্যা আর যশ লাভের বাসনা যিনি করেন তিনি নিশ্চয়ই গুরুপদবাচ্য নন." (বিষ্ণুস্মতি)
শ্রীশিব পার্বতীদেবীকে বলছেন--
গুরবো বহবঃ সন্তি শিষ্যবিত্তাপহারকাঃ.
দুর্লভঃ সদ্ গুরুর্দেবি শিষ্যসন্তাপহারকঃ ..
"হে দেবি, শিষ্যের বিত্ত ধন অপহারক বহু গুরু এই জগতে আছে, কিন্তু শিষ্যের দুঃখ নাশক একজন সদ্ গুরু দুর্লভ."
আদি গুরু শ্রীক্ষ্ণ থেকে যাদের পরম্পরার ধারা নেই, যারা কলির চতুর্বিধ আড্ডায় জড়িত অর্থাত্, যারা আমিষ আহার করে (মাছ, মাংস খায়), নিশা করে (দোক্তা, খৈনি, চা, জর্দা, তামাক, বিড়ি, সিগারেট, গাঁজা খায়), যারা জুয়া ভাগ্যলটারী খেলে, অবৈধ যৌনতায় জড়িত তারা গুরু পদবাচ্য হয় না. যারা নিজেকে ভগবান বলে দাবি করে, যাঁরা কলিযুগের যুগধর্ম ষোল নাম বত্রিশ অক্ষর সমন্বিত হরে ক্ষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করতে উপদেশ দেন না, শাস্ত্র বহির্ভূত নিজেদের মনগড়া নাম কীর্তন করেন তাঁরা নিশ্চয় গুরু পদবাচ্য নন.
উত্তর: শ্রীপদ্মপুরাণে বলা হয়েছে-
ষট্ কর্মনিপুণো বিপ্রো মন্ত্রতন্ত্রবিশারদ :.
অবৈষ্ণবো গুরুর্ন স্যাদ্বৈষ্ণবঃ শ্বপচো গুরু ..
"যজন, যাজন, অধ্যয়ন, অধ্যাপন, দান ও প্রতিগ্রহ-এই ছয় কর্মে নিপুণ এবং মন্ত্রতন্ত্রবিশারদ কোনও ব্রাক্ষণও গুরু হতে পারেন না, যদি না তিনি বৈষ্ণব হন. বরং চণ্ডালকুলে আবির্ভূত হয়েও বিষ্ণুভক্তিপরায়ণ ব্যক্তি গুরু হওয়ার যোগ্য .."
শ্রীবিষ্ণুস্মতি গ্রন্থে বলা হয়েছে--
পরিচর্যা-যশোলিপ্সুঃ শিষ্যাদ্ গুরুর্ন হি ..
"শিষ্যের কাছে কেবল সেবা পরিচর্যা আর যশ লাভের বাসনা যিনি করেন তিনি নিশ্চয়ই গুরুপদবাচ্য নন." (বিষ্ণুস্মতি)
শ্রীশিব পার্বতীদেবীকে বলছেন--
গুরবো বহবঃ সন্তি শিষ্যবিত্তাপহারকাঃ.
দুর্লভঃ সদ্ গুরুর্দেবি শিষ্যসন্তাপহারকঃ ..
"হে দেবি, শিষ্যের বিত্ত ধন অপহারক বহু গুরু এই জগতে আছে, কিন্তু শিষ্যের দুঃখ নাশক একজন সদ্ গুরু দুর্লভ."
আদি গুরু শ্রীক্ষ্ণ থেকে যাদের পরম্পরার ধারা নেই, যারা কলির চতুর্বিধ আড্ডায় জড়িত অর্থাত্, যারা আমিষ আহার করে (মাছ, মাংস খায়), নিশা করে (দোক্তা, খৈনি, চা, জর্দা, তামাক, বিড়ি, সিগারেট, গাঁজা খায়), যারা জুয়া ভাগ্যলটারী খেলে, অবৈধ যৌনতায় জড়িত তারা গুরু পদবাচ্য হয় না. যারা নিজেকে ভগবান বলে দাবি করে, যাঁরা কলিযুগের যুগধর্ম ষোল নাম বত্রিশ অক্ষর সমন্বিত হরে ক্ষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করতে উপদেশ দেন না, শাস্ত্র বহির্ভূত নিজেদের মনগড়া নাম কীর্তন করেন তাঁরা নিশ্চয় গুরু পদবাচ্য নন.
No comments:
Post a Comment