ডঃ প্রেমাঞ্জন দাস: ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে বিষয়ের সংযোগের ফলে অনিত্য সুখ দুঃখের অনুভব হয়. ঠিক সেগুলি যেন শীত এবং গ্রীষ্ম ঋতু গমনাগমনের মতো. হে ভরতকূল-প্রদীপ, সেই ইন্দ্রিয়জাত অনুভূতির দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে সেগুলি সহ্য কর. (গীতা ২/14)
আধুনিক মানুষ কোনো কিছু সহ্য করতে রাজী নয়. কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে উপলক্ষ্য করে জগতের সমস্ত জীবকে যথাসাধ্য সহ্য করতে উপদেশ দিচ্ছেন. সহ্য করলে কি লাভ? ক্ষতি কি? নিম্মে কিছু দৃষ্টান্তের মাধ্যমে বিষয়টি সুস্পষ্ট করার চেষ্টা করা হল.
(1) -প্রাচীনকালে মানুষ জ্বালানী কাঠ ব্যবহার করে রান্না করত. আধুনিক মানুষ বিদ্যুৎচুল্লী বা গ্যাসের চুল্লী ব্যাবহার করতে অভ্যস্ত. কাঠের জ্বালানীতে ধোঁয়া হয়, চোখে জল নিয়ে আসে, হারি বাসন কালো হয়ে যায়, দীর্ঘকাল ধরে মাজা ঘষা করলেও পরিষ্কার হতে চায় না. বিদ্যুৎচুল্লী বা গ্যাসের চুলায় এসব ঝামেলা নেই. কাঠের জ্বালানীতে রান্না করার কষ্ট তাই আধুনিক মানুষেরা সহ্য করতে রাজী নয়.
সহ্য না করার ফলে কি কি প্রতিক্রিয়া সহ্য করতে হচ্ছে সেটা দেখা যাক .-
কাঠ এবং ঘুঁটের রান্না সবচাইতে সুস্বাদু. শ্রীল প্রভুপাদ বলেছেন, ঘুঁটের রান্না প্রথম শ্রেণির, কাঠ দ্বিতীয় শ্রেণির, গ্যাস তৃতীয় শ্রেণির এবং বিদ্যুৎ চতুর্থ শ্রেণির. বিদ্যুতের চুলায় করা রান্না খেতে অনেকটা কাগজের মতো নিরস মনে হয়.
খনিগর্ভ স্থিত গ্যাস পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করে কিন্তু সেই গ্যাস যখন নিঃশেষিত হয়ে যায়, তখন প্রবল ভূমিকম্প হওয়াটা অনিবার্য হয়ে পড়ে. গ্যাস এবং বিদ্যুতের বিকিরণ স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়. এই বিকিরণ থেকে বিভিন্ন প্রকার রোগের সৃষ্টি হয়. গ্যাস ফেটে লোকের মৃত্যু হয় এবং গৃহে আগুনের ঘটনা মাজে মধ্যেই শোনা যায়. বিদ্যুতের সর্ট সার্কিট কিংবা বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও অহরহ.
গ্যাসের দাম এবং বিদ্যুতের বিল দিন দিন শুধু বাড়ছেই. অধিকাংশ মানুষ তাই বিকল্প হিসেবে ভগবানের দেওয়া জ্বালানী কাঠ ব্যাবহার করার কথা পুনরায় ভাবছে. এছাড়া বাড়িতে যদি শুধু একটি মাত্র গরু থাকে, সে যদি দুধ নাও দেয়, তাঁর গোবর থেকে ঘুঁটে তৈরি করে তিনজন মানুষের রান্না সারা বছর ধরে চালানো সম্ভব. কৃষিভিত্তিক সমাজে গরুর খাদ্য বাজার থেকে কিনতে হয় না. তাই কৃষকরা দুধ দানে অক্ষম একটি বৃদ্ধ গরু থেকেই সাড়া বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ জ্বালানী পেয়ে যায় বিনামূল্যে. বৈদিক যুগে প্রত্যেক বাড়ীতেই এরকম গরু কমপক্ষে ডজন খানেক থাকত. গোবর থেকে সহজেই গোবর গ্যাস তৈরি করে রান্না করা যায়. গোবর গ্যাসের বিকিরণ বিভিন্ন রোগ নিরাময় করতে পারে. এইভাবে মানুষ 'সরল জীবন উন্নত চিন্তা' সূত্রে পূর্ণভাবে জীবন যাপন করতে পারে. পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ গ্রামবাসী এবং গ্রামবাসীই হওয়া উচিত. আর গ্রাম কেন্দ্রিক জীবনে এই প্রস্তাব ষোল আনা সম্ভব এবং উত্তম প্রস্তাব. তবে একান্নবর্তী পরিবারে তা আরো সহজে সম্ভব.
আধুনিক মানুষ কোনো কিছু সহ্য করতে রাজী নয়. কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে উপলক্ষ্য করে জগতের সমস্ত জীবকে যথাসাধ্য সহ্য করতে উপদেশ দিচ্ছেন. সহ্য করলে কি লাভ? ক্ষতি কি? নিম্মে কিছু দৃষ্টান্তের মাধ্যমে বিষয়টি সুস্পষ্ট করার চেষ্টা করা হল.
(1) -প্রাচীনকালে মানুষ জ্বালানী কাঠ ব্যবহার করে রান্না করত. আধুনিক মানুষ বিদ্যুৎচুল্লী বা গ্যাসের চুল্লী ব্যাবহার করতে অভ্যস্ত. কাঠের জ্বালানীতে ধোঁয়া হয়, চোখে জল নিয়ে আসে, হারি বাসন কালো হয়ে যায়, দীর্ঘকাল ধরে মাজা ঘষা করলেও পরিষ্কার হতে চায় না. বিদ্যুৎচুল্লী বা গ্যাসের চুলায় এসব ঝামেলা নেই. কাঠের জ্বালানীতে রান্না করার কষ্ট তাই আধুনিক মানুষেরা সহ্য করতে রাজী নয়.
সহ্য না করার ফলে কি কি প্রতিক্রিয়া সহ্য করতে হচ্ছে সেটা দেখা যাক .-
কাঠ এবং ঘুঁটের রান্না সবচাইতে সুস্বাদু. শ্রীল প্রভুপাদ বলেছেন, ঘুঁটের রান্না প্রথম শ্রেণির, কাঠ দ্বিতীয় শ্রেণির, গ্যাস তৃতীয় শ্রেণির এবং বিদ্যুৎ চতুর্থ শ্রেণির. বিদ্যুতের চুলায় করা রান্না খেতে অনেকটা কাগজের মতো নিরস মনে হয়.
খনিগর্ভ স্থিত গ্যাস পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করে কিন্তু সেই গ্যাস যখন নিঃশেষিত হয়ে যায়, তখন প্রবল ভূমিকম্প হওয়াটা অনিবার্য হয়ে পড়ে. গ্যাস এবং বিদ্যুতের বিকিরণ স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়. এই বিকিরণ থেকে বিভিন্ন প্রকার রোগের সৃষ্টি হয়. গ্যাস ফেটে লোকের মৃত্যু হয় এবং গৃহে আগুনের ঘটনা মাজে মধ্যেই শোনা যায়. বিদ্যুতের সর্ট সার্কিট কিংবা বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও অহরহ.
গ্যাসের দাম এবং বিদ্যুতের বিল দিন দিন শুধু বাড়ছেই. অধিকাংশ মানুষ তাই বিকল্প হিসেবে ভগবানের দেওয়া জ্বালানী কাঠ ব্যাবহার করার কথা পুনরায় ভাবছে. এছাড়া বাড়িতে যদি শুধু একটি মাত্র গরু থাকে, সে যদি দুধ নাও দেয়, তাঁর গোবর থেকে ঘুঁটে তৈরি করে তিনজন মানুষের রান্না সারা বছর ধরে চালানো সম্ভব. কৃষিভিত্তিক সমাজে গরুর খাদ্য বাজার থেকে কিনতে হয় না. তাই কৃষকরা দুধ দানে অক্ষম একটি বৃদ্ধ গরু থেকেই সাড়া বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ জ্বালানী পেয়ে যায় বিনামূল্যে. বৈদিক যুগে প্রত্যেক বাড়ীতেই এরকম গরু কমপক্ষে ডজন খানেক থাকত. গোবর থেকে সহজেই গোবর গ্যাস তৈরি করে রান্না করা যায়. গোবর গ্যাসের বিকিরণ বিভিন্ন রোগ নিরাময় করতে পারে. এইভাবে মানুষ 'সরল জীবন উন্নত চিন্তা' সূত্রে পূর্ণভাবে জীবন যাপন করতে পারে. পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ গ্রামবাসী এবং গ্রামবাসীই হওয়া উচিত. আর গ্রাম কেন্দ্রিক জীবনে এই প্রস্তাব ষোল আনা সম্ভব এবং উত্তম প্রস্তাব. তবে একান্নবর্তী পরিবারে তা আরো সহজে সম্ভব.
No comments:
Post a Comment