পবিত্র কুরআনে আধ্যত্মিক উন্নতির জন্য ২ ধরনের পন্থার কথা বলা হয়েছে:
মানুষের চাহিদা অনুসারে (3.14) কোরানে ২ ধরনের মানুশের কথা বলা হয়েছে (3.15২)
1. জর জগতকে ভোগের মাধ্যমে আনন্দ লাভ করা
২. জর জগত ত্যাগের মাধ্যমে আল্লাহ্ সাথে যুক্ত হওয়া সেই সমস্থ মানুষ যারা জিব্বা কে দমন করতে পারে না তাদের জন্য পশু মাংস খাওয়ার বিধান করা হয়েছে. কিন্তু এইটি শাশ্বত নয়. আতি করা হয়েছে যাতে তাদের বদ অভ্যাস গুলো ধীরে ধীরে ত্যাগ করতে পারে কিন্তু যারা আধ্যাত্মিক জীবনে উন্নতি করতে চান তাদের জন্য পশু মাংস নিষিদ্ধ করা হয়েছে কোরানের (5.3) এ বলা হয়েছে -
মৃত পশু মাংস, রক্ত, যে পশু আল্লাহ্ এর নামে উৎসর্গ করা হয় নি আঘাতে জার মিত্রু হয়েছে, গলায় ফাস লেগে জার মিত্রু হয়েছে, উপর থেকে পড়ে যার মিত্রু হয়েছে, যে পশু মিত্রু মুখে পতিত, অন্য কোন প্রাণী দ্বারা যার কোন অংশ ভক্ষিত হয়েছে , কোন পাথর বা বেদীর উপরে যাকে হত্যা করা হয়েছে, এই প্রকার পশু মাংস ভক্ষণ সর্বত ভাবে নিষিদ্ধ. কোরানের এই আয়াত গভীর, সঠিক এবং যথাযথ ভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে সকল প্রকার পশু মাংস ভক্ষণের অনুমতি প্রদান করা হয় নি এই থেকে বুঝা যায় যে, প্রতিদিন হাজার হাজার পশু হত্যা করা যুক্তিযুক্ত নয় ইসলামের দৃষ্টিতেই. কোন ব্যক্তি যদি খাদ্যের জন্য পশু হত্যা করতে চাই তাহলে তাকে সঠিক নিয়ম অনুসরন করে কাজটি করতে হবে এবং এই হত্যার দায় দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে. যারা মাংস না খেয়ে থাকতে পারে না তাদের জন্যই আল্লাহ্ হালাল মাংস খাওয়াকে অনুমোদন করেছে, যাতে তাদের অভ্যাস ধীরে ধীরে পরিবর্তন করে তারা আল্লাহ্ কে ভালোবাসার যোগ্যতা লাভ করতে পারে
সুরা আল ময়দা তে উল্লেখ করা হয়েছে মক্কা অতি পবিত্র স্থান এইখানে সবধরনের পশু হত্যা সর্বত ভাবে নিষিদ্ধ. পলায়ন রত পশু হত্যা. তীর্থ যাত্রা কালীন পশু হত্যা নিষিদ্ধ, যেহেতু পশু হত্যা পাপ সেইজন্য পশু হত্যার জন্য এই প্রকার বিধিআরোপ করা হয়েছে
.
তাহলে কোরবানি উৎসবের আয়োজনের প্রচলন কেন ইসলাম ধর্মে হল. তা জানা যাবে পরের পোস্টে -
একদিন রাতে ইব্রাহীম স্বপ্নে দেখলেন যে "তার একমাত্র ছেলে ইসমাইলকে আল্লাহ্ কোরবানি দিতে বলছেন, তিনি আদেশ পাওয়ার পড়ে ছেলের সাথে সেই বিষয়ে আলোচনা করলেন, যেহেতু আল্লাহ্ ইচ্ছা তাই ছেলেটিও রাজী হল, এইটি তাদের জন্য একপ্রকার ভক্তির পরীক্ষা, অবশেষে মিনা উপত্যাকা যা মক্কা থেকে ছয় মাইল উত্তরে সেইখানে ইসমাইলকে কোরবানি দেয়ার পর্ব শুরু হল. ইব্রাহীম তার ছেলেকে কোরবানি দিতে উদ্যত হলেন তখন তার হাত চলিল না, তখন তিনি তার চোখ কাপড় দিয়ে আবৃত করলেন এবং ধারালো চাকু দিয়ে কোরবানি করতে শুরু করলেন, ঠিক সেই সময়ে আল্লহা ইসমাইল কে অপসারণ করে ২ তি দুম্বা স্থাপন করলেন ফলে ইসমাইল এই জীবন বাঁচল এবং দুম্বা দুইটির বলি হল সেই দিন থেকেই কোরবানি ঈদের সূচনা হয়. ইব্রাহীম এবং ইসমাইল এর এই অপূর্ব ঘটনা স্মরণ রাখার জন্য প্রতিবছর হাজার হাজার পশু হত্যা করে এই উৎসব পালন করা হয়. কিন্তু এই ঘটনার মাধ্যমে আল্লাহ্ আমাদের কি শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন সেটি আমাদের বুঝতে হবে -? তিনি কি একটি দুম্বা চেয়েছিলেন নাকি ইব্রাহিমের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু চেয়েছিলেন যদি তিনি দুম্বা চাইতেন তাহলে সরাসরি দুম্বার কথা বলতে পারতেন কিন্তু তিনি ইব্রাহীমের প্রিয় বস্ত চেয়েছিলেন আল্লাহ্ তাদের ত্যাগ এবং শরণাগতই পরীক্ষাপূর্বক ইসমাইল কে অপসারন করে ২ তি দুম্বা দিয়ে তাদের জীবন বাঁচালেন. এখন অত্যান্ত গভীর ভাবে বিশ্লেষণ করে দেখা যাক আল্লাহ্ কে একজনের সবচেয়ে প্রিয় বস্ত দেয়া উচিৎ নাকি দুম্বা জাতীয় পশু কোরবানি করা উচিৎ.
কোরানে আল্লাহ্ বলছেন (২২.37) আল্লাহ্ বলছেন:
কোন পশুর মাংস অথবা রক্ত আমার কাছে পৌছাই না. তোমাদের আন্তরিক প্রাথনা আমার কাছে পৌছায়. আল্লাহ্ কোন পশুর রক্ত মাংস গ্রহন করেন না তিনি হৃদয়ের ভালোবাসা গ্রহন করেন. পক্রিত অর্থে পিতা পুত্রের এই ঘটনাটির মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি কীভাবে আল্লাহ্ এর কাছে আমরা পূর্ণ রূপে শরণাগত হতে পারবো. সম্পূর্ণ ভাবে আল্লাহ্ এর উপরে নির্ভর করা. আমার সবকিছু আল্লার এই মনোভাব বজায় রাখা. যখন ইব্রাহীম তার পুত্র কে কোরবানি দেয়ার নির্দেশ পেলেন তখন পিতা পুত্র উভয় রাজী হলেন. কারন তারা উপলব্ধি করতে পেরেছেলেন যে এই জীবনটি আল্লাহ্ এর কাছে আত্ম সমর্পণের জন্যই. তাই তার ইচ্ছাই আমাদের ইচ্ছা. আমাদের কোন সতন্ত্র ইচ্ছা কামনা বাসনা থাকা উচিৎ নয়. কন্তা আমাদের জন্য ভালো এবং কোনটি আমাদের জন্য মন্দ তা তিনি ভালো জানেন. ইসলামধর্মাবলম্বীরা এই ঘটনা থেকে এইরূপ শিক্ষা গ্রহন না করে লক্ষ লক্ষ নিরীহ পশু কোরবানি করে থাকে যা এই ঘটনার পরপন্থি /
একজন ইসলামী দার্শনিক (মিস্টার BRAWA muhaiyaddeen আসমা উল হুসনা: 99 সুন্দর নাম আল্লাহর 1979 পি 181)
কোরবানি প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা করে বলেছেন: -
কোরবানি কথাটির মুখ্য এবং গৌণ ২ টি অর্থ আছে / গৌণ বিষয়টি হল কোরবানির মাধ্যমে পশুকে হালাল খাদ্যে রুপান্তর করা. কিন্তু মূল বিষয় হল - আল্লাহ্ কে ভালোবাসার জন্য আমাদের সবকিছু উৎসর্গ করতে হবে আমাদের হৃদয়ের সমস্থ পশু প্রবৃত্তি আছে সেগুলো কোরবানি করতে হবে. তিনি আরও বলেছেন কোরবানির নামে পশু হত্যা করলে হবেনা., আমাদের হৃদয়ে 400 ট্রিলিয়ন এবং 10 হাজার পশু প্রবৃত্তি আছে সেগুলো কোরবানি করতে হবে. আমাদের সমাজে প্রচলিত কোরবানি প্রসঙ্গে বাওয়া
Mahaiyaddeen ব্যাখ্যা করেছেন.
কোরবানির সময় প্রথমে যে কলমা পাঠ করা হয় সেটি পশু এবং ২ য় শক্তিশালী কলমা টি যাহারা কোরবানির সাথে জড়িত তাদেরও পবিত্র করে. কোরবানির সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ পবিত্র হওয়ার ফলে তাদের প্রতি আল্লাহ্ এর জন্য ভালোবাসার উদয় হয়. এবং ধীরে ধীরে পশু কোরবানি বন্ধ করে দেয়. . কোরবানের প্রাথমিক পর্বে বলা হয়েছে কোরবানের সময় যে চাকু ব্যবহার করা হয় তা চালাতে প্রতিবার কলমা উচ্ছারন করতে হয় পশুটির গলা আমন ভাবে কাটতে হয় যাতে গলার হার স্পর্শ না করে. পশুর পেট হতে কোন খাদ্য আসতে পারবে না অথবা পশু কোন শব্দ করতে পারবে না, যদি এইসব করে তাহলে পশুটি হারাম. যে পশুটিকে ধরবে এবং কাটবে তাদের অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অভ্যাস থাকতে হবে সেইজন্য ইমাম এবং ময়াজ্জেন সাধারণত এই কাজটি করে থাকে. এবং টা মসজিদের কাছে করা হয় কারন সেইখানে এই দুইজনকে সহজেই পাওয়া যায় ,. কোরবানির আগে তাদের অজু করতে হয় অবশ্যই কলমা পাঠ করতে হবে এবং যে পশুটি কোরবানি করাবে তাকে পানি পান করাতে হবে. পশুটির ঘাড় মক্কার দিকে টেনে রাখতে হবে যাতে পশুটির চোখ যে ব্যক্তি কোরবানি করাবে তার চোখের দিকে থাকে. কোরবানি প্রদানকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই পশুটির চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে. কলমা পাঠ করাবে এবং গলা পর্যন্ত কাটবে নিদিস্থ পরিমান মত. পশুটির আত্মা অই শরীর থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত ওই কোরবান প্রদান কারি ব্যক্তিকে পশুটির চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে. আত্মা বের হওয়ার পর তাকে আরেকবার কলমা পাঠ করতে হবে এবং চাকুটি পরিষ্কার করে অন্য পসুর কাছে জেতে হবে. কোরবানি প্রদানকারী ব্যক্তিটি দীর্ঘদিন পশুটির চোখের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে পশুটির ছকের পানি দেখে কষ্ট অনুভব করে, যাতে তার হৃদয় পরিবর্তন হয়
.
একদিন আল্লাহ হজরত (দ) মোহাম্মদ কে বললেন: -
তারা প্রতিদিন 1000-২000 পসু হত্যা করে এই সংখ্যা কমিয়ে 10-15 করতে বল. যদি তারা ফজরের নামাজ পরে সকাল 10 টায় শুরু করে তবে তাদেরকে 11 তার মাঝে কোরবানি শেষ করতে বল এবং পরবর্তী ম্নামাজের জন্য প্রস্তুত হতে বল. তখন জনগন বললেন আইতা কিভাবে সম্ভব? এতে আমাদের আনন্দ,
উৎসব কিছুই হবে না এবং আমরা মাত্র কয়েকটি পশু জবাই দিতে পারব "
কিন্তু আল্লাহ বললেন: -
তমাদের সকলকে একটি করে পশু হত্যার প্রয়োজন নেই, যেখানে 40 টি মোরগ দরকার সেইখানে 1 টি ছাগল দাও. যেখানে 40 টি ছাগল দরকার সেইখানে 10 টি গরু দাও, যেখানে 40 টি গরু দরকার সেইখানে 1 টি উঠ কোরবানি কর. তারপর নিজেদের মধ্যে মাংস ভাগ করে নিবে. সুতরাং যেখানে 400 টি পশু হত্যা হবে সেখানে 40 টি পশু হত্যার মাধ্যমে পশু হত্যার হার কমিয়ে আনা হচ্ছে.
সুতরাং যখন আমরা কোরবানিকে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারবো মনে হবে যাতে কোরবানির সকল আয়োজন পশুহত্যা বন্ধ করে দেয়া কিন্তু আমরা যদি মনে করি কোরবানির মাধ্যমে খাদ্যের জন্য মাংস সরবরাহ করা হবে তা হলে সঠিক উপলব্ধি হবে না. সূরা আল আনাম এ এইভাবে তা উল্লেখ করা হয়েছে.
মানুষের চাহিদা অনুসারে (3.14) কোরানে ২ ধরনের মানুশের কথা বলা হয়েছে (3.15২)
1. জর জগতকে ভোগের মাধ্যমে আনন্দ লাভ করা
২. জর জগত ত্যাগের মাধ্যমে আল্লাহ্ সাথে যুক্ত হওয়া সেই সমস্থ মানুষ যারা জিব্বা কে দমন করতে পারে না তাদের জন্য পশু মাংস খাওয়ার বিধান করা হয়েছে. কিন্তু এইটি শাশ্বত নয়. আতি করা হয়েছে যাতে তাদের বদ অভ্যাস গুলো ধীরে ধীরে ত্যাগ করতে পারে কিন্তু যারা আধ্যাত্মিক জীবনে উন্নতি করতে চান তাদের জন্য পশু মাংস নিষিদ্ধ করা হয়েছে কোরানের (5.3) এ বলা হয়েছে -
মৃত পশু মাংস, রক্ত, যে পশু আল্লাহ্ এর নামে উৎসর্গ করা হয় নি আঘাতে জার মিত্রু হয়েছে, গলায় ফাস লেগে জার মিত্রু হয়েছে, উপর থেকে পড়ে যার মিত্রু হয়েছে, যে পশু মিত্রু মুখে পতিত, অন্য কোন প্রাণী দ্বারা যার কোন অংশ ভক্ষিত হয়েছে , কোন পাথর বা বেদীর উপরে যাকে হত্যা করা হয়েছে, এই প্রকার পশু মাংস ভক্ষণ সর্বত ভাবে নিষিদ্ধ. কোরানের এই আয়াত গভীর, সঠিক এবং যথাযথ ভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে সকল প্রকার পশু মাংস ভক্ষণের অনুমতি প্রদান করা হয় নি এই থেকে বুঝা যায় যে, প্রতিদিন হাজার হাজার পশু হত্যা করা যুক্তিযুক্ত নয় ইসলামের দৃষ্টিতেই. কোন ব্যক্তি যদি খাদ্যের জন্য পশু হত্যা করতে চাই তাহলে তাকে সঠিক নিয়ম অনুসরন করে কাজটি করতে হবে এবং এই হত্যার দায় দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে. যারা মাংস না খেয়ে থাকতে পারে না তাদের জন্যই আল্লাহ্ হালাল মাংস খাওয়াকে অনুমোদন করেছে, যাতে তাদের অভ্যাস ধীরে ধীরে পরিবর্তন করে তারা আল্লাহ্ কে ভালোবাসার যোগ্যতা লাভ করতে পারে
সুরা আল ময়দা তে উল্লেখ করা হয়েছে মক্কা অতি পবিত্র স্থান এইখানে সবধরনের পশু হত্যা সর্বত ভাবে নিষিদ্ধ. পলায়ন রত পশু হত্যা. তীর্থ যাত্রা কালীন পশু হত্যা নিষিদ্ধ, যেহেতু পশু হত্যা পাপ সেইজন্য পশু হত্যার জন্য এই প্রকার বিধিআরোপ করা হয়েছে
.
তাহলে কোরবানি উৎসবের আয়োজনের প্রচলন কেন ইসলাম ধর্মে হল. তা জানা যাবে পরের পোস্টে -
একদিন রাতে ইব্রাহীম স্বপ্নে দেখলেন যে "তার একমাত্র ছেলে ইসমাইলকে আল্লাহ্ কোরবানি দিতে বলছেন, তিনি আদেশ পাওয়ার পড়ে ছেলের সাথে সেই বিষয়ে আলোচনা করলেন, যেহেতু আল্লাহ্ ইচ্ছা তাই ছেলেটিও রাজী হল, এইটি তাদের জন্য একপ্রকার ভক্তির পরীক্ষা, অবশেষে মিনা উপত্যাকা যা মক্কা থেকে ছয় মাইল উত্তরে সেইখানে ইসমাইলকে কোরবানি দেয়ার পর্ব শুরু হল. ইব্রাহীম তার ছেলেকে কোরবানি দিতে উদ্যত হলেন তখন তার হাত চলিল না, তখন তিনি তার চোখ কাপড় দিয়ে আবৃত করলেন এবং ধারালো চাকু দিয়ে কোরবানি করতে শুরু করলেন, ঠিক সেই সময়ে আল্লহা ইসমাইল কে অপসারণ করে ২ তি দুম্বা স্থাপন করলেন ফলে ইসমাইল এই জীবন বাঁচল এবং দুম্বা দুইটির বলি হল সেই দিন থেকেই কোরবানি ঈদের সূচনা হয়. ইব্রাহীম এবং ইসমাইল এর এই অপূর্ব ঘটনা স্মরণ রাখার জন্য প্রতিবছর হাজার হাজার পশু হত্যা করে এই উৎসব পালন করা হয়. কিন্তু এই ঘটনার মাধ্যমে আল্লাহ্ আমাদের কি শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন সেটি আমাদের বুঝতে হবে -? তিনি কি একটি দুম্বা চেয়েছিলেন নাকি ইব্রাহিমের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু চেয়েছিলেন যদি তিনি দুম্বা চাইতেন তাহলে সরাসরি দুম্বার কথা বলতে পারতেন কিন্তু তিনি ইব্রাহীমের প্রিয় বস্ত চেয়েছিলেন আল্লাহ্ তাদের ত্যাগ এবং শরণাগতই পরীক্ষাপূর্বক ইসমাইল কে অপসারন করে ২ তি দুম্বা দিয়ে তাদের জীবন বাঁচালেন. এখন অত্যান্ত গভীর ভাবে বিশ্লেষণ করে দেখা যাক আল্লাহ্ কে একজনের সবচেয়ে প্রিয় বস্ত দেয়া উচিৎ নাকি দুম্বা জাতীয় পশু কোরবানি করা উচিৎ.
কোরানে আল্লাহ্ বলছেন (২২.37) আল্লাহ্ বলছেন:
কোন পশুর মাংস অথবা রক্ত আমার কাছে পৌছাই না. তোমাদের আন্তরিক প্রাথনা আমার কাছে পৌছায়. আল্লাহ্ কোন পশুর রক্ত মাংস গ্রহন করেন না তিনি হৃদয়ের ভালোবাসা গ্রহন করেন. পক্রিত অর্থে পিতা পুত্রের এই ঘটনাটির মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি কীভাবে আল্লাহ্ এর কাছে আমরা পূর্ণ রূপে শরণাগত হতে পারবো. সম্পূর্ণ ভাবে আল্লাহ্ এর উপরে নির্ভর করা. আমার সবকিছু আল্লার এই মনোভাব বজায় রাখা. যখন ইব্রাহীম তার পুত্র কে কোরবানি দেয়ার নির্দেশ পেলেন তখন পিতা পুত্র উভয় রাজী হলেন. কারন তারা উপলব্ধি করতে পেরেছেলেন যে এই জীবনটি আল্লাহ্ এর কাছে আত্ম সমর্পণের জন্যই. তাই তার ইচ্ছাই আমাদের ইচ্ছা. আমাদের কোন সতন্ত্র ইচ্ছা কামনা বাসনা থাকা উচিৎ নয়. কন্তা আমাদের জন্য ভালো এবং কোনটি আমাদের জন্য মন্দ তা তিনি ভালো জানেন. ইসলামধর্মাবলম্বীরা এই ঘটনা থেকে এইরূপ শিক্ষা গ্রহন না করে লক্ষ লক্ষ নিরীহ পশু কোরবানি করে থাকে যা এই ঘটনার পরপন্থি /
একজন ইসলামী দার্শনিক (মিস্টার BRAWA muhaiyaddeen আসমা উল হুসনা: 99 সুন্দর নাম আল্লাহর 1979 পি 181)
কোরবানি প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা করে বলেছেন: -
কোরবানি কথাটির মুখ্য এবং গৌণ ২ টি অর্থ আছে / গৌণ বিষয়টি হল কোরবানির মাধ্যমে পশুকে হালাল খাদ্যে রুপান্তর করা. কিন্তু মূল বিষয় হল - আল্লাহ্ কে ভালোবাসার জন্য আমাদের সবকিছু উৎসর্গ করতে হবে আমাদের হৃদয়ের সমস্থ পশু প্রবৃত্তি আছে সেগুলো কোরবানি করতে হবে. তিনি আরও বলেছেন কোরবানির নামে পশু হত্যা করলে হবেনা., আমাদের হৃদয়ে 400 ট্রিলিয়ন এবং 10 হাজার পশু প্রবৃত্তি আছে সেগুলো কোরবানি করতে হবে. আমাদের সমাজে প্রচলিত কোরবানি প্রসঙ্গে বাওয়া
Mahaiyaddeen ব্যাখ্যা করেছেন.
কোরবানির সময় প্রথমে যে কলমা পাঠ করা হয় সেটি পশু এবং ২ য় শক্তিশালী কলমা টি যাহারা কোরবানির সাথে জড়িত তাদেরও পবিত্র করে. কোরবানির সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ পবিত্র হওয়ার ফলে তাদের প্রতি আল্লাহ্ এর জন্য ভালোবাসার উদয় হয়. এবং ধীরে ধীরে পশু কোরবানি বন্ধ করে দেয়. . কোরবানের প্রাথমিক পর্বে বলা হয়েছে কোরবানের সময় যে চাকু ব্যবহার করা হয় তা চালাতে প্রতিবার কলমা উচ্ছারন করতে হয় পশুটির গলা আমন ভাবে কাটতে হয় যাতে গলার হার স্পর্শ না করে. পশুর পেট হতে কোন খাদ্য আসতে পারবে না অথবা পশু কোন শব্দ করতে পারবে না, যদি এইসব করে তাহলে পশুটি হারাম. যে পশুটিকে ধরবে এবং কাটবে তাদের অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অভ্যাস থাকতে হবে সেইজন্য ইমাম এবং ময়াজ্জেন সাধারণত এই কাজটি করে থাকে. এবং টা মসজিদের কাছে করা হয় কারন সেইখানে এই দুইজনকে সহজেই পাওয়া যায় ,. কোরবানির আগে তাদের অজু করতে হয় অবশ্যই কলমা পাঠ করতে হবে এবং যে পশুটি কোরবানি করাবে তাকে পানি পান করাতে হবে. পশুটির ঘাড় মক্কার দিকে টেনে রাখতে হবে যাতে পশুটির চোখ যে ব্যক্তি কোরবানি করাবে তার চোখের দিকে থাকে. কোরবানি প্রদানকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই পশুটির চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে. কলমা পাঠ করাবে এবং গলা পর্যন্ত কাটবে নিদিস্থ পরিমান মত. পশুটির আত্মা অই শরীর থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত ওই কোরবান প্রদান কারি ব্যক্তিকে পশুটির চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে. আত্মা বের হওয়ার পর তাকে আরেকবার কলমা পাঠ করতে হবে এবং চাকুটি পরিষ্কার করে অন্য পসুর কাছে জেতে হবে. কোরবানি প্রদানকারী ব্যক্তিটি দীর্ঘদিন পশুটির চোখের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে পশুটির ছকের পানি দেখে কষ্ট অনুভব করে, যাতে তার হৃদয় পরিবর্তন হয়
.
একদিন আল্লাহ হজরত (দ) মোহাম্মদ কে বললেন: -
তারা প্রতিদিন 1000-২000 পসু হত্যা করে এই সংখ্যা কমিয়ে 10-15 করতে বল. যদি তারা ফজরের নামাজ পরে সকাল 10 টায় শুরু করে তবে তাদেরকে 11 তার মাঝে কোরবানি শেষ করতে বল এবং পরবর্তী ম্নামাজের জন্য প্রস্তুত হতে বল. তখন জনগন বললেন আইতা কিভাবে সম্ভব? এতে আমাদের আনন্দ,
উৎসব কিছুই হবে না এবং আমরা মাত্র কয়েকটি পশু জবাই দিতে পারব "
কিন্তু আল্লাহ বললেন: -
তমাদের সকলকে একটি করে পশু হত্যার প্রয়োজন নেই, যেখানে 40 টি মোরগ দরকার সেইখানে 1 টি ছাগল দাও. যেখানে 40 টি ছাগল দরকার সেইখানে 10 টি গরু দাও, যেখানে 40 টি গরু দরকার সেইখানে 1 টি উঠ কোরবানি কর. তারপর নিজেদের মধ্যে মাংস ভাগ করে নিবে. সুতরাং যেখানে 400 টি পশু হত্যা হবে সেখানে 40 টি পশু হত্যার মাধ্যমে পশু হত্যার হার কমিয়ে আনা হচ্ছে.
সুতরাং যখন আমরা কোরবানিকে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারবো মনে হবে যাতে কোরবানির সকল আয়োজন পশুহত্যা বন্ধ করে দেয়া কিন্তু আমরা যদি মনে করি কোরবানির মাধ্যমে খাদ্যের জন্য মাংস সরবরাহ করা হবে তা হলে সঠিক উপলব্ধি হবে না. সূরা আল আনাম এ এইভাবে তা উল্লেখ করা হয়েছে.
No comments:
Post a Comment