শুভ জন্মদিন শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু ,শ্রী শ্রী
গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর শুভ আবির্ভাব তিথি কি ~জয়
পাপ ভারাক্রান্ত পৃথিবীর বেদনায় বেদনার্থ হইয়া দ্বাপরে প্রার্থনা করেছিলেন ব্রক্ষা আর কলির যুগে শ্রী অদ্বৈতাচার্য। শ্রী অদ্বৈতাচার্য শ্রীহট্র নিবাসী একজন শাস্ত্রজ্ঞ পন্ডিত ও নৈষ্ঠিক ব্রাক্ষন ছিলেন। সদাশিবের অবতার হিসাবে তাঁর পরিচিতি ছিল।
নবদ্বিপের শান্তিপুরে শ্রী অদ্বৈতাচার্য বসবাস করতেন।
তিনি প্রতিদিন মদন গোপালের পাদপদ্মে
গঙ্গাজল তুলসী দিয়ে বলিতেন-“প্রভূ মদন গোপাল তুমি
ধরার বুকে নামিয়া আস। সত্য ধর্ম সংস্থাপন কর”।
তিনি দূড় চিত্তে বলতেন-
“করাইবো কৃষ্ণ সর্ব নয়ন গোচর
তবে সে অদ্বৈত নাম কৃষ্ণের কিংকর”
ভক্তের ডাকে ভগবান সাড়া দিলেন। একদিন
শ্রী অদ্বৈতাচার্য গঙ্গার তীরে বসিয়া মদন
গোপাল বলে কাঁদতে ছিলেন। হঠাৎ দেখিলেন
একটি তুলসী পত্র স্রোতের বিপরীত দিকে ভাসিয়া চলিছে। তিনি বিস্মিত হলেন এবং তুলসী পত্রের অনুগমন করিলেন। নদীয়ার গঙ্গার ঘাটে তখন অগনিত নরনারী স্নান করছিলেন।
উক্ত তুলসী পত্রটি শ্রী হট্রনিবাসী উপেন্দ্র মিশ্রের পুত্র জগন্নাথ মিশ্রের সহধর্মিনী এবং নীলাম্বর চক্রবর্তীর
কন্যা শচীদেবীর নাভিমূলে এসে ঠেকিয় স্থির হলো।
শ্রী অদ্বৈতাচার্য বুঝিলেন মদন গোপাল এই ভাগ্যবতী রমনীর গর্ভেই আসিবেন। শ্রী চৈতন্য গৌরাঙ্গ মহাপ্রভূ মাতৃগর্ভ সিন্ধুতে আসেন শ্রী হট্র(সিলেট) জেলার ঢাকা দক্ষিন গ্রামে। জগন্নাথ মিশ্রের মাতৃদেবী শোভাময়ী স্বপ্নে দেখেন তাঁর পুত্রবধুর গর্ভে স্বয়ং নারায়ন আবির্ভূত হবেন। তিনি গঙ্গাতীরে জন্মিবেন।
স্বপ্ন দেখে শোভাময়ী দেবী পূত্র ও
পুত্রবধুকে নবদ্বিপে পাঠাইয়া দিলেন। এবং যাবার সময় বলেছিলের যিনি আসিবেন তাঁকে আমায় দেখাইও মহাপ্রভূ শচী দেবীর দশম গর্ভের
সন্তান। শচী দেবী ও জগন্নাথ মিশ্রও সপ্নে দেখেছিলেন-
শচী কহে-
“ মুঞি দেখো আকাশ উপরে
দিব্য মূর্তি লোক সব যেন স্তুতি করে”।
উভয়েই প্রতিক্ষায় থাকলেন সেই
উন্নতসত্তা মহাপুরুষের শুভ আবির্ভাবের জন্য।
কিন্তু কোথায় সেই মহাপুরুষ! দশ মাস-এগারো
মাস- বার মাস গিয়ে তের মাস চলিল। শচীদেবীর জনক
প্রখ্যাত জ্যোতিষি নীলাম্বর চক্রবর্তী গনিয়া কহিলেন, এই মাসেই শুভ লগ্নে এক সুলক্ষন পুত্র জন্মিবে।
আবির্ভাবঃ- ফাল্গুন মাস নব-বসন্ত দোল পূর্নিমা তিথি।
গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর শুভ আবির্ভাব তিথি কি ~জয়
পাপ ভারাক্রান্ত পৃথিবীর বেদনায় বেদনার্থ হইয়া দ্বাপরে প্রার্থনা করেছিলেন ব্রক্ষা আর কলির যুগে শ্রী অদ্বৈতাচার্য। শ্রী অদ্বৈতাচার্য শ্রীহট্র নিবাসী একজন শাস্ত্রজ্ঞ পন্ডিত ও নৈষ্ঠিক ব্রাক্ষন ছিলেন। সদাশিবের অবতার হিসাবে তাঁর পরিচিতি ছিল।
নবদ্বিপের শান্তিপুরে শ্রী অদ্বৈতাচার্য বসবাস করতেন।
তিনি প্রতিদিন মদন গোপালের পাদপদ্মে
গঙ্গাজল তুলসী দিয়ে বলিতেন-“প্রভূ মদন গোপাল তুমি
ধরার বুকে নামিয়া আস। সত্য ধর্ম সংস্থাপন কর”।
তিনি দূড় চিত্তে বলতেন-
“করাইবো কৃষ্ণ সর্ব নয়ন গোচর
তবে সে অদ্বৈত নাম কৃষ্ণের কিংকর”
ভক্তের ডাকে ভগবান সাড়া দিলেন। একদিন
শ্রী অদ্বৈতাচার্য গঙ্গার তীরে বসিয়া মদন
গোপাল বলে কাঁদতে ছিলেন। হঠাৎ দেখিলেন
একটি তুলসী পত্র স্রোতের বিপরীত দিকে ভাসিয়া চলিছে। তিনি বিস্মিত হলেন এবং তুলসী পত্রের অনুগমন করিলেন। নদীয়ার গঙ্গার ঘাটে তখন অগনিত নরনারী স্নান করছিলেন।
উক্ত তুলসী পত্রটি শ্রী হট্রনিবাসী উপেন্দ্র মিশ্রের পুত্র জগন্নাথ মিশ্রের সহধর্মিনী এবং নীলাম্বর চক্রবর্তীর
কন্যা শচীদেবীর নাভিমূলে এসে ঠেকিয় স্থির হলো।
শ্রী অদ্বৈতাচার্য বুঝিলেন মদন গোপাল এই ভাগ্যবতী রমনীর গর্ভেই আসিবেন। শ্রী চৈতন্য গৌরাঙ্গ মহাপ্রভূ মাতৃগর্ভ সিন্ধুতে আসেন শ্রী হট্র(সিলেট) জেলার ঢাকা দক্ষিন গ্রামে। জগন্নাথ মিশ্রের মাতৃদেবী শোভাময়ী স্বপ্নে দেখেন তাঁর পুত্রবধুর গর্ভে স্বয়ং নারায়ন আবির্ভূত হবেন। তিনি গঙ্গাতীরে জন্মিবেন।
স্বপ্ন দেখে শোভাময়ী দেবী পূত্র ও
পুত্রবধুকে নবদ্বিপে পাঠাইয়া দিলেন। এবং যাবার সময় বলেছিলের যিনি আসিবেন তাঁকে আমায় দেখাইও মহাপ্রভূ শচী দেবীর দশম গর্ভের
সন্তান। শচী দেবী ও জগন্নাথ মিশ্রও সপ্নে দেখেছিলেন-
শচী কহে-
“ মুঞি দেখো আকাশ উপরে
দিব্য মূর্তি লোক সব যেন স্তুতি করে”।
উভয়েই প্রতিক্ষায় থাকলেন সেই
উন্নতসত্তা মহাপুরুষের শুভ আবির্ভাবের জন্য।
কিন্তু কোথায় সেই মহাপুরুষ! দশ মাস-এগারো
মাস- বার মাস গিয়ে তের মাস চলিল। শচীদেবীর জনক
প্রখ্যাত জ্যোতিষি নীলাম্বর চক্রবর্তী গনিয়া কহিলেন, এই মাসেই শুভ লগ্নে এক সুলক্ষন পুত্র জন্মিবে।
আবির্ভাবঃ- ফাল্গুন মাস নব-বসন্ত দোল পূর্নিমা তিথি।
No comments:
Post a Comment