Wednesday, March 15, 2017

কোনটি আমিষ আর কোনটি নিরামিষ হিসাবে গ্রহণ করব

পৃথিবীর গাছপালা পশুপাখি সব কিছুই পঞ্চভূত দিয়ে তৈরি. শাক-সবজি ও মাছ-মাংস পঞ্চভূতের বাইরের কিছু নয়. অতএব কোনটি আমিষ আর কোনটি নিরামিষ হিসাবে গ্রহণ করব?

অনেক সময় ডাক্তার তার রোগীর নির্দেশ দেন, "দই খাওয়া নিষিদ্ধ. রোজ যতটা সম্ভব ছানা খাবেন. "তখন রোগী যদি চিন্তা করেন," ওঃ ডাক্তার ঠিক বলছে না, দই আর ছানা-দুই-ই দুধ থেকে তৈরি. তাই দই খাওয়া আর ছানা খাওয়া একই ব্যাপার. "এইরকম মনগড়া বুদ্ধিতে
চললে বিপদ অবশ্যম্ভাবী

অনুরূপভাবে, শাক-সবজি এবং মাছ-মাংস সবই
পঞ্চভূত অর্থাৎ, মাটি, জল, বায়ু, আগুন ও আকাশ দ্বারা গঠিত হলেও পরম নিয়ন্তা ভগবানের নির্দেশে মাছ-মাংস সম্পূর্ণ বর্জন করে শাক- শবজি খাদ্যরূপে গ্রহণীয়

পঞ্চভূত বিশিষ্ট মল-

মূত্র-বিষ্ঠা শূকর বা কুকুরের প্রিয় খাদ্য হতে
পারে, তাই বলে মানুষ তা কখনই খাদ্য হিসাবে
গ্রহণ করবে না. আমিষ বলতে সাধারনত পশু-পাখি, মাছ-সাপ, কীট-পতঙ্গ ইত্যাদি জীবের দেহজাতীয় খাদ্যকে বোঝায়.

নিরামিষ বলতে গাছপালা, ফল-ফুল-পাতা, শস্যজাতীয় খাদ্যকে বোঝায় মাছ-মাংস হচ্ছে উগ্র রাজসিক ও ঘোর তামসিক খাদ্য, যা মানব মনের পশুবৃত্তি বাড়িয়ে তোলে, ধীরতা ও পবিত্রতা নষ্ট করে.

উদ্ভিজ্জ খাদ্য সাধারনত দেহ ও মনে সত্ত্বগুণের সঞ্চার করে রক্ত-মাংস-হাড়-পিত্ত দিয়ে তৈরি খাদ্য হল ঘোর তামসান্ধ ব্যক্তির খাদ্য. তাই মাছ-মাংস অমেধ্য অর্থাৎ, অস্পৃশ্য খাদ্যরূপে চিহ্নিত.

শ্রীমদ্ভবদগীতায় (17/10) ভগবান নির্দেশ
দিয়েছেন এই অস্পৃশ্য খাদ্য তামসিক ব্যক্তিদের
প্রিয়. চামেধ্যং ভোজনং তামসপ্রিয়ম্

No comments:

Post a Comment