নিজের খুনিকে চিনিয়ে দিল শিশু!
সবে বলতে শিখেছে আধো আধো কথা. হঠাৎ একদিন? করেই সে বলে উঠল_ 'আমাকে মেরেছে, আমি মরে গেছি.' বাড়ির লোকজন তো শুনেই অবাক. এই কথা শেষ হওয়ার পরই মাথার পেছনে হাত দিয়ে কী যেন একটা বোঝানোর চেষ্টা করল সে. দেখালো, মাথার পেছনে একটা দাগ. জন্ম থেকেই শিশুটির মাথার পেছনে রয়েছে একটি বড় লালচে দাগ. সেই দাগটিই সে বারবার হাত দিয়ে দেখাচ্ছিল. আর বলছিল, 'আমাকে মেরে ফেলা হয়েছে'
সিরিয়া-ইসরাইল সীমান্তবর্তী গোলান মালভূমির ড্রুজ সম্প্রদায় পুনর্জন্মে প্রবল বিশ্বাসী. প্রায় দুই লাখ জনগোষ্ঠীর এই জাতির রয়েছে নিজস্ব ধর্মবিশ্বাস. ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে একমাত্র
তারাই অ- ইহুদি হিসেবে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়. এই সম্প্রদায়েরই এক ছেলে শিশুর মুখে এমন কথা শুনে সবার চোখ রীতিমতো কপালে. কথা বলতে শেখার পরপরই ওই শিশুটি বলতে থাকে, 'আমাকে মেরেছে. এভাবে কেটে গেল বছরখানেক. এখন শিশুটির বয়স তিন বছর. বাড়ির লোকজনকে সে জানিয়েছে, তাকে মারা হয়েছিল কুঠার দিয়ে. সেই আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে. খুনিকে দেখলেও চিনতেও পারবে সে. আর বারবারই সে বলে, যে বাড়িতে তাকে মেরে ফেলা হয়েছিল, সেখানে নিয়ে যাওয়ার কথা.
প্রথম প্রথম শিশুটির কথায় কেউ বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি. কিন্তু যেহেতু ওই সম্প্রদায় পুনর্জন্মে বিশ্বাসী, তাই তার মুখ থেকে বারবার এক কথা শোনায় একদিন তাকে নিয়ে যাওয়া হলো ওই বাড়িতে. নির্দিষ্ট ওই বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর করতেই শিশুটির বাড়ির লোকজন জানতে পারে, এই বাড়ি থেকেই বছর চারেক আগে নিখোঁজ হয়েছিল একজন. অনেক খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি. এলাকাবাসী ধারণা করেছিল, পার্শ্ববর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো জায়গায় গিয়ে হয়তো ক্ষয়- ক্ষতির শিকার হয়েছে সে. কারণ, ইসরাইল- সিরিয়া সীমান্তবর্তী এ অঞ্চলের মানুষের ক্ষেত্রে এমনটি প্রায়ই হয়ে থাকে. ওই অঞ্চলে মুক্তভাবে চলাচলকারীদের
গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়, আবার অনেক সময় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গুলি করে হত্যাও করা হয়.
শিশুটির কথামতো গ্রামবাসীরা নিয়ে গেল সেই জায়গায়, যেখানে তাকে হত্যার পর মাটিচাপা দেয়া হয়েছিল. এরপর মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো এক ব্যক্তির কঙ্কাল. তবে মাথার খুলি দেখে বিস্মিত হলো সবাই. কারণ, কঙ্কালটির খুলির পেছনে ছিল আঘাতের বড় ক্ষত, যা শিশুটির মাথার দাগের সঙ্গে মিলে যায়.
এই ঘটনার পরই জাতিস্মর শিশুটিকে দেখতে ভিড় করে গ্রামবাসীরা. ওই গ্রামবাসীর মধ্যে থেকেই এক ব্যক্তিকে নিজের খুনি বলে চিহ্নিত করে ফেলল শিশুটি. কিন্তু ওই ব্যক্তি অপরাধের দায় পুরোপুরি অস্বীকার করে. কিন্তু সবার সামনে ওই ব্যক্তির নামও বলে দেয় শিশুটি. তারপরই সে স্বীকার করতে বাধ্য হয় খুনের কথা. সম্প্রতি ওই শিশুটির জীবনী নিয়ে 'চিলড্রেন হু হ্যাভ লিভড্ বিফোর .. রিয়েনকারনেশন টু ডে' নামে তৈরি হচ্ছে একটি তথ্যচিত্র.
সংবাদসূত্র: ডেকান ক্রনিকল
সবে বলতে শিখেছে আধো আধো কথা. হঠাৎ একদিন? করেই সে বলে উঠল_ 'আমাকে মেরেছে, আমি মরে গেছি.' বাড়ির লোকজন তো শুনেই অবাক. এই কথা শেষ হওয়ার পরই মাথার পেছনে হাত দিয়ে কী যেন একটা বোঝানোর চেষ্টা করল সে. দেখালো, মাথার পেছনে একটা দাগ. জন্ম থেকেই শিশুটির মাথার পেছনে রয়েছে একটি বড় লালচে দাগ. সেই দাগটিই সে বারবার হাত দিয়ে দেখাচ্ছিল. আর বলছিল, 'আমাকে মেরে ফেলা হয়েছে'
সিরিয়া-ইসরাইল সীমান্তবর্তী গোলান মালভূমির ড্রুজ সম্প্রদায় পুনর্জন্মে প্রবল বিশ্বাসী. প্রায় দুই লাখ জনগোষ্ঠীর এই জাতির রয়েছে নিজস্ব ধর্মবিশ্বাস. ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে একমাত্র
তারাই অ- ইহুদি হিসেবে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়. এই সম্প্রদায়েরই এক ছেলে শিশুর মুখে এমন কথা শুনে সবার চোখ রীতিমতো কপালে. কথা বলতে শেখার পরপরই ওই শিশুটি বলতে থাকে, 'আমাকে মেরেছে. এভাবে কেটে গেল বছরখানেক. এখন শিশুটির বয়স তিন বছর. বাড়ির লোকজনকে সে জানিয়েছে, তাকে মারা হয়েছিল কুঠার দিয়ে. সেই আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে. খুনিকে দেখলেও চিনতেও পারবে সে. আর বারবারই সে বলে, যে বাড়িতে তাকে মেরে ফেলা হয়েছিল, সেখানে নিয়ে যাওয়ার কথা.
প্রথম প্রথম শিশুটির কথায় কেউ বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি. কিন্তু যেহেতু ওই সম্প্রদায় পুনর্জন্মে বিশ্বাসী, তাই তার মুখ থেকে বারবার এক কথা শোনায় একদিন তাকে নিয়ে যাওয়া হলো ওই বাড়িতে. নির্দিষ্ট ওই বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর করতেই শিশুটির বাড়ির লোকজন জানতে পারে, এই বাড়ি থেকেই বছর চারেক আগে নিখোঁজ হয়েছিল একজন. অনেক খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি. এলাকাবাসী ধারণা করেছিল, পার্শ্ববর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো জায়গায় গিয়ে হয়তো ক্ষয়- ক্ষতির শিকার হয়েছে সে. কারণ, ইসরাইল- সিরিয়া সীমান্তবর্তী এ অঞ্চলের মানুষের ক্ষেত্রে এমনটি প্রায়ই হয়ে থাকে. ওই অঞ্চলে মুক্তভাবে চলাচলকারীদের
গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়, আবার অনেক সময় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গুলি করে হত্যাও করা হয়.
শিশুটির কথামতো গ্রামবাসীরা নিয়ে গেল সেই জায়গায়, যেখানে তাকে হত্যার পর মাটিচাপা দেয়া হয়েছিল. এরপর মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো এক ব্যক্তির কঙ্কাল. তবে মাথার খুলি দেখে বিস্মিত হলো সবাই. কারণ, কঙ্কালটির খুলির পেছনে ছিল আঘাতের বড় ক্ষত, যা শিশুটির মাথার দাগের সঙ্গে মিলে যায়.
এই ঘটনার পরই জাতিস্মর শিশুটিকে দেখতে ভিড় করে গ্রামবাসীরা. ওই গ্রামবাসীর মধ্যে থেকেই এক ব্যক্তিকে নিজের খুনি বলে চিহ্নিত করে ফেলল শিশুটি. কিন্তু ওই ব্যক্তি অপরাধের দায় পুরোপুরি অস্বীকার করে. কিন্তু সবার সামনে ওই ব্যক্তির নামও বলে দেয় শিশুটি. তারপরই সে স্বীকার করতে বাধ্য হয় খুনের কথা. সম্প্রতি ওই শিশুটির জীবনী নিয়ে 'চিলড্রেন হু হ্যাভ লিভড্ বিফোর .. রিয়েনকারনেশন টু ডে' নামে তৈরি হচ্ছে একটি তথ্যচিত্র.
সংবাদসূত্র: ডেকান ক্রনিকল
No comments:
Post a Comment