Thursday, March 23, 2017

শ্রাদ্ধে মাছ মাংস খেলে এবং কালীর সামনে পশু বলি দিলে কি কি নরকে যেতে হবে জানুন ?

শ্রাদ্ধ পিন্ডে মাছ খাওয়ানো কতটুকু যুক্তিপূর্ণ? বিষয়টাকে বেশি না ঘুরিয়ে শ্রীমদ্ভাগবত ও গীতার আলোকে বিশ্লষণ করছি--
নিরামিশ করা শ্রাদ্ধে যুক্তিযুক্ত নাকি আমিষ করা একটু পরে আশাকরি সকলে বুঝতে পারবেন. আমরা সকল ধার্মিক হিন্দুরাই জানি একজন হিন্দু লোক মারা গেলে বলতে হয় .... দিব্যান লোকান্ স্ব গচ্ছতু অর্থাৎ. তিনি দিব্যধাম প্রাপ্ত হোক. দিব্য মানে দেবতার স্থান যেখানে দেবতারা ভগবানের আরাধনায় মগ্ন থাকেন .অপরদিকে মাছ মাংস মদ ইত্যাদি ডায়নী ও পেতনীর খাবার. আমরা দেখি অধিকাংশ হিন্দু পরিবারে মানুষ মারাগেলে মৃত দেহের আত্মার শান্তির লক্ষ্যে এবং ভগবান কিংবা দেবধামে যাওয়ার লক্ষ্যে আত্মীয় স্বজনকে শ্রাদ্ধে মাছ খাওয়ান তাহলে কি বুঝলেন? শাস্ত্রের নিয়মে আমরা একদিকে দিব্যধামে যাওয়ার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি অন্যদিকে ভূত পেতনীর খাবার মানুষকে খাইয়ে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি যে তিনি দিব্যধামে প্রবেশ করুক. পেতনীর খাবার যদি মানুষকে খাইয়ে শ্রাদ্ধে বিষ্ণুর নিয়ম অমান্য করে পেতনী শাদ্ধ করি তাহলে মৃত ব্যক্তি কি স্বর্গে যাবে নাকি পেতনি লোকে যাবে সেটা নিশ্চয় সকলে বুঝতে পারছেন.
শ্রীমদ্ভাগবতে (5 / ২6 / 5-36) বর্ণনা আছে ২8 টি নরক কুণ্ডের কথা তারমধ্যে 3 নাম্বার নরক রৌরব, 5 নাম্বার নরক কুম্ভীপাক, 9 নাম্বার নরক অন্ধকূপ, 16 নাম্বার নরক প্রাণরোধ, 17 নাম্বার নরক বিশসন, ২3 নাম্বার নরক রক্ষোভোজন, ২4 নাম্বার নরক শূলপ্রোত. সবগুলো নরককুন্ড পশু হত্যাও, খাওয়া কিংবা অন্যকে খাওয়ানোর অপরাধে তৈরি অর্থাৎ ভাগবতের ২8 টি নরককুন্ডের মধ্যে এই কুণ্ডগুলোতে পাঠানো হবে যারা পশুকে বিভিন্নভাবে হত্যা করে, নিজে আহার করে কিংবা অন্যকে আহার করায়. এমন কি মা কালীর সামনে বলি দিলেও এই নরকের একটিতে পতিত হবেন. সুতরাং শ্রাদ্ধ মানে বিষ্ণুর প্রীতির উদ্দেশ্যে যা কিছু দান করা হবে তাই শ্রাদ্ধ আর গীতা ও ভাগবতে যেহেতু মাছ, মাংস আহার নিষেধ তাই শ্রাদ্ধ হবে গীতায় পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিয়ম অনুসারে যেখানে পরমেশ্বর বলেছেন .... পত্রং পুষ্পং ফলং তোয়ং অর্থাৎ যে আমাকে পত্র পুষ্প ফল ও জল দিয়ে নিবেদন করবে আমি তার নিবেদন ভক্তিসহকারে গ্রহণ করি. আশি করি কিভাবে শ্রাদ্ধ করা উচিত তা বুঝতে পারছেন.

No comments:

Post a Comment