Friday, September 20, 2013

তালিবানের বিরুদ্ধে কলম ধরার মাসুল দিতে হল সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ---

কাবুল:Kabulioala bagali bou  ‘কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ’-এর লেখিকা সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুন হলেন।  আজ দুপুরে আফগানিস্তানে জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর৷ সংবাদ সংস্থা সূত্রে এখবর জানানো হয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পিছনে রয়েছে তালিবান জঙ্গিরা৷ ১৯৯৫ সালে ‘কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ’ বইটি লেখেন সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জনপ্রিয় এই বইটির ওপরে পরে ২০০৩-এ তৈরি হয় ‘এসকেপ ফ্রম তালিবান’ ছবিটি৷
১৯৮৯ সালে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশের খারানার বাসিন্দা জানবাজ খানের সঙ্গে বিয়ে হয় সুস্মিতার৷ ১৯৯৪ সালে আফগানিস্তান থেকে পালান তিনি৷ পরের বছর লেখেন ‘কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ’৷ এদিন দুপুরে খারানায় নিজের বাড়ির বাইরে খুন হলেন তিনি। তালিবানদের খপ্পর থেকে ভারতে নাটকীয়ভাবে পালিয়ে আসার কাহিনী ছিল ‘কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ’।
 আফগানিস্তানে তাঁর মতো অত্যাচারিত মহিলাদের জীবন যন্ত্রণাও ওই কাহিনীতে তুলে ধরেছিলেন তিনি। সম্প্রতি  আফগানিস্তানে স্বামী জানবাজ খানের  কাছে ফিরেছিলেন সুস্মিতা৷
পুলিশ সূত্রের খবর, তালিবান জঙ্গিরা পাকতিকা প্রদেশের রাজধানী খারানায় সুস্মিতাদের বাড়িতে এসে চড়াও হয়ে তাঁর স্বামী ও পরিবারের সদস্যদের বেঁধে ফেলে। তারপর ৪৯ বছরের সুস্মিতাকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে গুলি করে খুন করে। তারপর তাঁর দেহ স্থানীয় একটি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেলে রেখে যায়। এই হামলার দায় অবশ্য এখনও কোন জঙ্গি গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। কলকাতায় জানবাজের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর ১৯৮৯-এ তাঁকে বিয়ে করে আফগানিস্তানে এসেছিলেন সুস্মিতা।
প্রদেশের এক পদস্থ পুলিশ আধিকারিক  জানিয়েছেন, সুস্মিতা বর্তমানে সায়েদ কামালা পরিচয়ে পাকতিকা প্রদেশে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন। কাজের অঙ্গ হিসেবেই তিনি স্থানীয় মহিলাদের জীবনকেও ফিল্মবন্দী করতেন। সূত্রের খবর, সুস্মিতার এই কাজ মোটেই পছন্দ হয়নি তালিবানদের৷তার জেরেই খুন হতে হল ‘কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ’৷তাহলে কি তালিবানের বিরুদ্ধে কলম ধরার মাসুল দিতে হল সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে? তালিবানি অত্যাচারের কাহিনি তুলে ধরার জন্যই ওদের টার্গেট হয়ে উঠেছিলেন তিনি? জানবাজ খানকে বিয়ে করে তাঁর সঙ্গে ঘর করার সুবাদে তালিবানি শাসনকে খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন সুস্মিতা কয়েকবার ব্যর্থ হওয়ার পর একবার তালিবানের কব্জা থেকে বেরিয়ে আসতে সফল হন পালিয়ে কলকাতায় চলে আসেন পালিয়ে আসার রোমহর্ষক কাহিনি লেখেন কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ নামের বইতে বই-টিভি-গান-সিনেমা বর্জিত দমবন্ধ করা অন্ধকার জীবনের ছবিও ফুটিয়ে তোলেন তাতে তা থেকে ২০০৩ সালে সিনেমাও হয় বলিউডে সেজন্যই তিনি তালিবানের বিষ নজরে পড়েন বলে মনে করছেন পাকতিকা প্রদেশের পুলিশ প্রধান দওলত খান জাদরান তিনি জানিয়েছেন, সুস্মিতার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা জাদরান বলেছেন, উনি এমন কিছু আগে লিখেছিলেন বা বলেছিলেন বলে তালিবানের আক্রোশ ছিল ওনার ওপর, তদন্তে এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে জাদরান বলেছেন, আমরা শরণ শহরের (পাকতিকার রাজধানী) মসজিদের বাইরে ওঁর বুলেটবিদ্ধ নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে শরীরে ২০টি বুলেটের দাগ রয়েছে এমনকী জঙ্গিরা ওঁর মাথার খানিকটা চুলও খুবলে ছিঁড়ে নিয়েছে
সম্ভবত, এ থেকেই বোঝা যায়, সুস্মিতার প্রতি রাগে কতটা অন্ধ ছিল তালিবান! আফগানিস্তানে সংসার করার সময় তিনি দেখেছিলেন, মেয়েরা কতটা উপেক্ষা, অবহেলা পেয়ে থাকেন, সেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবার কী বেহাল দশা তাই সেখানে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালাতেই পাকতিয়ায় ফিরে গিয়েছিলেন বলে শোনা যায় ফেরাটাই কি তবে কাল হল?

 কলকাতার খবর:  সুস্মিতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে কলকাতার সাহিত্য মহলে।  তাঁর এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নিন্দায় সরব রাজ্যের সাহিত্যিকরা। সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্য বলেছেন, সুস্মিতাকে হত্যা করে তাঁর কলম কোনওদিন থামাতে পারবে না তালিবানরা।  কারণ, তাঁর লেখণী এখন বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বেই। কবি সুবোধ সরকার সুস্মিতাকে অত্যন্ত সাহসী মহিলা অভিহিত করে এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছেন।
১৯৯৪-এ আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসার পর থেকে সুস্মিতা থাকতেন কলকাতায়৷ শেষ ঠিকানা ছিল যশোর রোডের একটি আবাসন৷ সেখানকার প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গত শীতেই তিনি  আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন৷
লাভ জিহাদ আর কি বা দিতে পারে এক হিন্দু মেয়েকে , মৃত্যু ছাড়া। মুসলিম বিয়ে করলে হিন্দু মেয়েদের হয় মৃত্যু নয় নরক এর চেয়ে বাজে জীবনে কাটাতে হয়।
মৃত্যু তার অনেক দিন আগেই হয়েছে … ১৯৮৯ …
শুধু শ্রাদ্ধ টা বাকি ছিল … ভুল বললাম … তাও হবে না … কবরে যেতে হবে …
যারা নিজের সংস্কার কে উপেক্ষা করতে পারে … তারা বেঁচে আছে কি করে বলি …
কোন মানুষ ধর্মান্তর হলে আমার তাকে অপরাধী বলে মনে হয় না … কোন ধর্ম কারুর ভাল লাগতে পারে … আদর্শ বলে মনে হতে পারে …
কিন্তু কোন মানুষ কেবল নিজের স্বার্থের জন্যে ( বিয়ে ) ধর্মান্তর হলে … তাকে পশুর থেকেও অধম বলে মনে হয় …

No comments:

Post a Comment