Wednesday, March 15, 2017

কৃষ্ণ শব্দটির অর্থ কি

যিনি জীবদের মায়ার কবল থেকে আকর্ষণ করে নিজ নিত্যদাস্যে নিয়োগ পূবর্ক পরমানন্দ প্রদান করেন, তিনিই কৃষ্ণ.শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরমেশ্বর ভগবান, পরমব্রহ্ম. শ্রীকৃষ্ণই সকল সত্তার উৎস.

শ্রীকৃষ্ণই আদি, মধ্য এবং অন্ত্য. শ্রীকৃষ্ণই
অজাত, অজম. সবর্কারনের পরম কারণ.
শ্রীকৃষ্ণ পূর্ণ-পুর্নম. শ্রীকৃষ্ণ সকল ঐশ্বযর্পূর্ণ.
তাঁর মধ্যে সকল ঈশ্বর্য, পূর্ন সকল শ্রী- সকল বীর্য
সকল জ্ঞান সকল যশ -সকলবৈরাগ্য পূর্ণরূপে
বিরাজমান.শ্রীকৃষ্ণ চিৎ জগতের গোলক বৃন্দাবনে
স্বয়ং বিরাজমান.

গোলক বৃন্দাবন বেষ্টনকারী অন্তহীন চিৎজগতের
বৈকুন্ঠধামে শ্রীকৃষ্ণ চতুর্ভুজরূপী নারায়ন রূপে
বিরাজমান.

শ্রীকৃষ্ণ মহাবিষ্ণুরূপে নিজেকে বিস্তার করেন
এবং এই সীমাবদ্ধ জড়ো বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টি
করেন. শ্রীকৃষ্ণ প্রতিটি ব্রহ্মান্ডে গর্ভোদকশায়ী বিষ্ণুরূপে প্রবেশ করেন এবং সেগুলিকে পরিচালনা করেন
শ্রীকৃষ্ণ প্রতিটি জীবসত্তা, জড়বস্তু, সক্রিয় কিংবা নিস্ক্রিয় শরীরে ক্ষীরোদকশায়ী বিষ্ণুরূপে প্রবেশ করেন এবংতাদের প্রতিপালন করেন.

যখন এবং যেখানে ধর্মীয় অনুশাসনের অধ: পতন ঘটে এবং অধর্মের অভূত্থান ঘটে ঠিক তখনি সাধুদের
পরিত্রান করার জন্য এবং দুস্কৃতিকারীদের
বিনাশ করার জন্য শ্রীকৃষ্ণ যুগে যুগে অবতীর্ণ হন.

শ্রীকৃষ্ণ ব্রহ্মার জীবনাবসানের একদিনে একবার বা প্রতি 860 কোটি বছর পর একবার আবির্ভূত হন :-)

No comments:

Post a Comment