Thursday, March 23, 2017

২017 সালের একাদশী ব্রতের তালিকা. ছবিটি এখান থেকে সংগ্রহ করে রাখুন.


শ্রাদ্ধে মাছ মাংস খেলে এবং কালীর সামনে পশু বলি দিলে কি কি নরকে যেতে হবে জানুন ?

শ্রাদ্ধ পিন্ডে মাছ খাওয়ানো কতটুকু যুক্তিপূর্ণ? বিষয়টাকে বেশি না ঘুরিয়ে শ্রীমদ্ভাগবত ও গীতার আলোকে বিশ্লষণ করছি--
নিরামিশ করা শ্রাদ্ধে যুক্তিযুক্ত নাকি আমিষ করা একটু পরে আশাকরি সকলে বুঝতে পারবেন. আমরা সকল ধার্মিক হিন্দুরাই জানি একজন হিন্দু লোক মারা গেলে বলতে হয় .... দিব্যান লোকান্ স্ব গচ্ছতু অর্থাৎ. তিনি দিব্যধাম প্রাপ্ত হোক. দিব্য মানে দেবতার স্থান যেখানে দেবতারা ভগবানের আরাধনায় মগ্ন থাকেন .অপরদিকে মাছ মাংস মদ ইত্যাদি ডায়নী ও পেতনীর খাবার. আমরা দেখি অধিকাংশ হিন্দু পরিবারে মানুষ মারাগেলে মৃত দেহের আত্মার শান্তির লক্ষ্যে এবং ভগবান কিংবা দেবধামে যাওয়ার লক্ষ্যে আত্মীয় স্বজনকে শ্রাদ্ধে মাছ খাওয়ান তাহলে কি বুঝলেন? শাস্ত্রের নিয়মে আমরা একদিকে দিব্যধামে যাওয়ার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি অন্যদিকে ভূত পেতনীর খাবার মানুষকে খাইয়ে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি যে তিনি দিব্যধামে প্রবেশ করুক. পেতনীর খাবার যদি মানুষকে খাইয়ে শ্রাদ্ধে বিষ্ণুর নিয়ম অমান্য করে পেতনী শাদ্ধ করি তাহলে মৃত ব্যক্তি কি স্বর্গে যাবে নাকি পেতনি লোকে যাবে সেটা নিশ্চয় সকলে বুঝতে পারছেন.
শ্রীমদ্ভাগবতে (5 / ২6 / 5-36) বর্ণনা আছে ২8 টি নরক কুণ্ডের কথা তারমধ্যে 3 নাম্বার নরক রৌরব, 5 নাম্বার নরক কুম্ভীপাক, 9 নাম্বার নরক অন্ধকূপ, 16 নাম্বার নরক প্রাণরোধ, 17 নাম্বার নরক বিশসন, ২3 নাম্বার নরক রক্ষোভোজন, ২4 নাম্বার নরক শূলপ্রোত. সবগুলো নরককুন্ড পশু হত্যাও, খাওয়া কিংবা অন্যকে খাওয়ানোর অপরাধে তৈরি অর্থাৎ ভাগবতের ২8 টি নরককুন্ডের মধ্যে এই কুণ্ডগুলোতে পাঠানো হবে যারা পশুকে বিভিন্নভাবে হত্যা করে, নিজে আহার করে কিংবা অন্যকে আহার করায়. এমন কি মা কালীর সামনে বলি দিলেও এই নরকের একটিতে পতিত হবেন. সুতরাং শ্রাদ্ধ মানে বিষ্ণুর প্রীতির উদ্দেশ্যে যা কিছু দান করা হবে তাই শ্রাদ্ধ আর গীতা ও ভাগবতে যেহেতু মাছ, মাংস আহার নিষেধ তাই শ্রাদ্ধ হবে গীতায় পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিয়ম অনুসারে যেখানে পরমেশ্বর বলেছেন .... পত্রং পুষ্পং ফলং তোয়ং অর্থাৎ যে আমাকে পত্র পুষ্প ফল ও জল দিয়ে নিবেদন করবে আমি তার নিবেদন ভক্তিসহকারে গ্রহণ করি. আশি করি কিভাবে শ্রাদ্ধ করা উচিত তা বুঝতে পারছেন.

মুসলমানরা কেন উটের মুত খায়?

প্রশ্নটা শুনলে আপনার কাছে কোন আজগুবি গল্প মনে হতে পারে.কিন্তু এটাই বাস্তব. # মুসলমানদের কাছে উটের মুত মহাঔষধি! বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানদের কাছে উটর মুত রোগ নিরাময়ে খুবই জনপ্রিয়.আর ইসলামের জন্মস্থান সৌদি আরবে # উটেরমুত এতো জনপ্রিয় যে সেখানে মোড়ে মোড়ে উটের মুতের দোকান রয়েছে.সম্প্রতি সৌদি সরকার বেশ কয়েকটি উটের মুতের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে.কারণ দোকানগুলোর মালিকরা ঐ দোকানের উটের মুতের বোতলে নিজ প্রসাব বিক্রি করছিলেন বেশি লাভের আশায়. আসুন দেখা যাক হাদিসে উটের মুতের ব্যাপারে কি লেখা আছে.
সাহিহ বুখারিঃ ভলিউম 1, বুক 4, হাদিস নঃ২34-
আবু কিলাবা বর্ণনা করেছেনঃ আনাস বলেছেন, "উকল ও উরাইনা গোত্রের কিছু লোক মেদিনাতে আসে এবং মদিনার আবহাওয়া তাদের খাপ খায় নি. সুতরাং নবী (সঃ) তাদের উটের পাল থেকে দুধ ও মুত্র খেতে হুকুম করেন. সুতরাং তারা হুকুম মত কাজ করে, এবং তারা সুস্থ হবার পর, তারা নবীর রাখালকে হত্যা করে, এবং সব উট নিয়ে পালিয়ে যায় ...
এ হাদিসে আমরা জানলাম যে ২ টি গোত্রের লোক মদিনাতে আসে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে.নবী তখন তাদের উটের দুধ, ও মুত্র, পান করতে বলেন, এবং তারা মুত্র ও দুধ খাবার পর সুস্থ হয়ে যায়. এরপর তারা নবীর রাখালকে হত্যা করে, ও উটের পাল নিয়ে পালিয়ে যায়.
অনেকে ভাবতে পারে, ইসলাম কেমন ধর্ম যে এর নবী মানুষকে মুত্র খাওায়ার হুকুম করে?
প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে যে এই হাদিসটিতে লোকগুলো অসুস্থ হয়ে পরে, এবং সেই রোগ এর ঔষধ হিসেবে আমাদের নবী তাদের মুত্র খেতে বলেন. কারণ নবী জানতেন, তাদের ওই বিশেষ অসুস্থতার নিরাময় রয়েছে উটের মুত্রতে. এবং লোকগুল তা খেয়ে সুস্থ হয়.এই হাদিসে কেন নবী মুত্র খেতে বললেন?
মুফাস্সিল ইসলামের পোস্ট-
উটের পস্রাব খাওয়া সহি হাদিস মোতাবেক বরকতময় - https://www.youtube.com/watch?v=cdUej7kf_J8
(ভিডিওটি দেখবেন আশা করি)
এখন আপনার মনে হতে পারে তাহলে উপমহাদেশের মুসলমানদের মধ্যে উঠের মুত এতো জনপ্রিয় না কেন?
এর উত্তর হতে পারে উপমহাদেশের সবাই শুনে মুসলমান. তাছাড়া এখানে উঠ এতো বেশি পাওয়া যায় না.
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মুসলিমদের উঠের মুত না খাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে.কারণ এই উঠের মুতে এমন উপাদান রয়েছে যা মানুষের অনেক মারাত্মক রোগ এমনকি মৃত্যু ডেকে আনতে পারে. কিন্তু যেহেতু নবীর আদেশ তাই মুসলমান দেশে উঠের মুত খাওয়া চলে মহাসমারোহে!
http://metro.co.uk/.../bad-news-for-anyone-who-likes-to-drin.../

পুনর্জন্ম কোন অন্ধ বিশ্বাস না

নিজের খুনিকে চিনিয়ে দিল শিশু!

সবে বলতে শিখেছে আধো আধো কথা. হঠাৎ একদিন? করেই সে বলে উঠল_ 'আমাকে মেরেছে, আমি মরে গেছি.' বাড়ির লোকজন তো শুনেই অবাক. এই কথা শেষ হওয়ার পরই মাথার পেছনে হাত দিয়ে কী যেন একটা বোঝানোর চেষ্টা করল সে. দেখালো, মাথার পেছনে একটা দাগ. জন্ম থেকেই শিশুটির মাথার পেছনে রয়েছে একটি বড় লালচে দাগ. সেই দাগটিই সে বারবার হাত দিয়ে দেখাচ্ছিল. আর বলছিল, 'আমাকে মেরে ফেলা হয়েছে'
সিরিয়া-ইসরাইল সীমান্তবর্তী গোলান মালভূমির ড্রুজ সম্প্রদায় পুনর্জন্মে প্রবল বিশ্বাসী. প্রায় দুই লাখ জনগোষ্ঠীর এই জাতির রয়েছে নিজস্ব ধর্মবিশ্বাস. ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে একমাত্র
তারাই অ- ইহুদি হিসেবে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়. এই সম্প্রদায়েরই এক ছেলে শিশুর মুখে এমন কথা শুনে সবার চোখ রীতিমতো কপালে. কথা বলতে শেখার পরপরই ওই শিশুটি বলতে থাকে, 'আমাকে মেরেছে. এভাবে কেটে গেল বছরখানেক. এখন শিশুটির বয়স তিন বছর. বাড়ির লোকজনকে সে জানিয়েছে, তাকে মারা হয়েছিল কুঠার দিয়ে. সেই আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে. খুনিকে দেখলেও চিনতেও পারবে সে. আর বারবারই সে বলে, যে বাড়িতে তাকে মেরে ফেলা হয়েছিল, সেখানে নিয়ে যাওয়ার কথা.

প্রথম প্রথম শিশুটির কথায় কেউ বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি. কিন্তু যেহেতু ওই সম্প্রদায় পুনর্জন্মে বিশ্বাসী, তাই তার মুখ থেকে বারবার এক কথা শোনায় একদিন তাকে নিয়ে যাওয়া হলো ওই বাড়িতে. নির্দিষ্ট ওই বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর করতেই শিশুটির বাড়ির লোকজন জানতে পারে, এই বাড়ি থেকেই বছর চারেক আগে নিখোঁজ হয়েছিল একজন. অনেক খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি. এলাকাবাসী ধারণা করেছিল, পার্শ্ববর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো জায়গায় গিয়ে হয়তো ক্ষয়- ক্ষতির শিকার হয়েছে সে. কারণ, ইসরাইল- সিরিয়া সীমান্তবর্তী এ অঞ্চলের মানুষের ক্ষেত্রে এমনটি প্রায়ই হয়ে থাকে. ওই অঞ্চলে মুক্তভাবে চলাচলকারীদের
গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়, আবার অনেক সময় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গুলি করে হত্যাও করা হয়.

শিশুটির কথামতো গ্রামবাসীরা নিয়ে গেল সেই জায়গায়, যেখানে তাকে হত্যার পর মাটিচাপা দেয়া হয়েছিল. এরপর মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো এক ব্যক্তির কঙ্কাল. তবে মাথার খুলি দেখে বিস্মিত হলো সবাই. কারণ, কঙ্কালটির খুলির পেছনে ছিল আঘাতের বড় ক্ষত, যা শিশুটির মাথার দাগের সঙ্গে মিলে যায়.

এই ঘটনার পরই জাতিস্মর শিশুটিকে দেখতে ভিড় করে গ্রামবাসীরা. ওই গ্রামবাসীর মধ্যে থেকেই এক ব্যক্তিকে নিজের খুনি বলে চিহ্নিত করে ফেলল শিশুটি. কিন্তু ওই ব্যক্তি অপরাধের দায় পুরোপুরি অস্বীকার করে. কিন্তু সবার সামনে ওই ব্যক্তির নামও বলে দেয় শিশুটি. তারপরই সে স্বীকার করতে বাধ্য হয় খুনের কথা. সম্প্রতি ওই শিশুটির জীবনী নিয়ে 'চিলড্রেন হু হ্যাভ লিভড্ বিফোর .. রিয়েনকারনেশন টু ডে' নামে তৈরি হচ্ছে একটি তথ্যচিত্র.
সংবাদসূত্র: ডেকান ক্রনিকল

নারীর / কন্যার গুরুত্ব হিন্দু ধর্মের আলোকে

জন্ম দেওয়ার জন্য - 'মা' চাই
রাখী বাঁধানোর জন্য - 'বোন' চাই
গল্প শুনানোর জন্য - 'দিদিমা' চাই
বায়না পূরন করার জন্য - 'মাসিমা' চাই
ক্ষীর খাওয়ার জন্য - 'মামী' চাই
জীবন সাথীর জন্য - 'পত্নী' চাই
কিন্তু এইসব সম্পর্ক পালন করার জন্য
কন্যাকে তো জীবিত থাকতে হবে !!
আসুন আমরা সবাই মিলে কন্যা সন্তানের প্রতি যত্নবান হই.
❇ ☆ ❇ রাধে রাধে ❇ ☆ ❇

ইসলামে পশুর সাথে যৌনসংগমের বৈধতা!

ইসলামি সমাজ ব্যবস্থায় সমকামিতা এবং স্বামী/স্ত্রী ছাড়া যৌনসংগম করা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ এমনকি সমকামীদেরকে মেরে ফেলার বিধানও কোরআনে আছে। যার ফলে আমরা ভাবতেই পারি কেউ যদি এরও বাহিরে গিয়ে পশুদের সাথে যৌনসংগম করে ধরা পরে তাহলে হয়তো একই রকম শাস্তির বিধান ইসলামে বিদ্যমান। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে কোরআনে এই বেপারে কোন কিছু বলা নাই ।
কোরআনে অনেক কিছুই বাড়ন করা আছে, যেমন অমুসলিমদের বিয়ে করা যাবে না বা তাদের সাথে কোনরকম বন্ধুত্ব করা যাবে না, কাকে বিয়ে করা যাবে বা কাকে বিয়ে করা যাবে না এইরকম আরও অনেক কিছু। কিন্তু পশুর সাথে সেক্স করা যাবে না এই কথাটি কোথাও বলা নাই। আর যেহেতু কোরআনে পশুদের সাথে যৌনসংগমের বেপারে কিছু বলা নাই তার মানে ইসলামে পশুদের সাথে যৌনসংগমে লিপ্ত হওয়া বৈধ । আইনের কাজ হচ্ছে কোন কিছুকে নির্দিষ্ট ধারা করে বন্ধ করা জায়েজ করা না। সারা বিশ্বে আইনের বিধান হচ্ছে কোনকিছুকে যদি নিশেদ করতে হয় তাহলে সেটাকে আইন করে বন্ধ করতে হয়, আর যদি আইন না থাকে তারমানে তা করার বৈধতা দেয়া আছে।
এখন দেখি হাদিস কি বলে পশুদের সাথে যৌনসংগমের বেপারে। আবু-দাউদ , বই -৩৮, হাদিস নং-৪৪৪৯: আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস বর্ণিত – নবি বললেন , যে কেউ কোন পশুর সাথে যৌন সঙ্গম করবে তাকে ও সেই পশুকে হত্যা কর। আমি বললাম , আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম , পশুর প্রতি কি অপরাধ আরোপিত হবে ? তিনি উত্তর দিলেন – আমি মনে করি , নবী সেই পশুর মাংস খাওয়ার ব্যাপারে নিষেধ করেছিলেন। এখন প্রশ্ন আসে পশুর এইখানে কি দোষ সেতো কাউকে বাধ্য করে নাই তারসাথে যৌনসংগম করার জন্য তাকে কেন নবী হত্যা করতে বললেন? বুঝলাম তার মাংস খাওয়া যাবে না, তারমানেই কি তাকে হত্যা করতে হবে? পশু হত্যা না মহাপাপ ? এখন আসল কথায় আসি, এই হাদিস থেকে আমরা দেখতে পাই নবী পশুর সাথে যৌনসংগমকারিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন কিন্তু ঠিক তার পরের হাদিসটাই এই হাদিসকে কনটরাডিকট করে। আবু-দাউদ , বই -৩৮, হাদিস নং-৪৪৫০: আব্দুল্লা ইবনে আব্বাস বর্ণিত – পশুদের সাথে কেউ যৌন সঙ্গম করলে তার জন্য কোন নির্ধারিত শাস্তি নেই। অর্থাৎ পশুদের সাথে যৌনসংগম করা বৈধ।ইসলামে যখনি
ইসলামে এইধরনের গোঁজামিল বা স্ববিরোধিতা যখন ধরা পরে তখন দরকার পরে ফতোয়ার । আর এই ফতোয়ার বেপারে এগিয়ে এসেছিলেন ইরানের ধর্মীও নেতা আয়াতুল্লাহ খমেনি। তিনি বলেছিলেন- “মুসলিমদের পশুপাখিদের সাথে যৌনসংগম করতেই পারে তবে কাজ শেষে ঐসকল পশুপাখিদের হত্যা করতে হবে, তবে তার মাংস নিজ গ্রামে বিক্রি করা যাবে না কিন্তু পাশের গ্রামে বিক্রি করা যাবে”।

Collected from

ইসলাম যে কিছু মানুষের বানান গাল গল্প ও কিচ্ছা কাহিনী, ভুয়া, তার ১০০% সহিহ প্রমান

আমরা জানি ইসলামের বিধি বিধান আচার আচরন প্রায় ২0% নেয়া হয়েছে কোরান থেকে 80% নেয়া হয়েছে হাদিস থেকে.ইসলামের প্রধান স্তম্ভই হলো সালাত বা নামাজ. কোরানে সালাতের কথা বলা আছে, কিন্তু 5 বারের কথা বলা নেই. কিভাবে নামাজ পড়তে হবে, ওজু করতে হবে এসব কিছুই বলা নেই কোরানে. এসব বলা হয়েছে হাদিসে. কিভাবে হজ্জ করবেন, কোরবানী করবেন, আয়ের কত অংশ যাকাত দিবেন এসব কিছুই বিস্তারিত বলা আছে হাদিসে, কোরানে এসবের খালি উল্লেখ আছে. হাদিস থেকে জেনেই একজন মুমিন তার নামাজ পড়ে, হজ্জ করে, যাকাত দেয়, কোরবানী করে ইত্যাদি. তার অর্থ হাদিস ছাড়া ইসলাম বিরাট এক শূন্য.

এখন দেখা যাক, এই হাদিস আসলে কি. হাদিস হলো মুহাম্মদের কথা বার্তা, আদেশ নিষেধ, কোরানের ব্যখ্যা. মুহাম্মদ 610 খৃষ্টাব্দ থেকে 63২ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত তার কথিত কোরানের বানী পায়. কিন্তু মুহাম্মদ কোন লিখিত কোরান রেখে যায় নি. এসব লেখা ছিল হাড়, খেজুর পাতা ইত্যাদিতে বিচ্ছিন্নভাবে, আর কিছু ছিল কিছু সাহাবিদের মুখস্ত. কোরানের এই বিষয়টার তথ্য আমরা কোথা থেকে পাই? পাই সহিহ হাদিস থেকে. এসব হাদিস মুহাম্মদ মরার কত বছর পর সংকলিত হয়? সেটা দেখা যাক ----
Sunni Muslims view the six major hadith collections as their most important. They are (The order of authenticity varies between the Madhhabs): [5]
Sahih Bukhari, collected by Imam Bukhari (d. 256 AH, 870 CE), includes 7,275 ahadith
Sahih Muslim, collected by Muslim b. al-Hajjaj (d. 261 AH, 875 CE), includes 9,200 ahadith
Sunan Abu Dawood, collected by Abu Dawood (d. 275 AH, 888 CE), includes 4,800 ahadith
Jami al-Tirmidhi, collected by al-Tirmidhi (d. 279 AH, 892 CE), includes 3,956 ahadith
Sunan al-Sughra, collected by al-Nasa'i (d. 303 AH, 915 CE), includes 5,270 ahadith
Sunan ibn Majah, collected by Ibn Majah (d. 273 AH, 887 CE), over 4,000 ahadith
Muwatta Malik, collected by Imam Malik (d. 179 AH, 795 CE), 1,720 ahadith

মুহাম্মদ মারা যায় 10/11 হিজরিতে. সুতরাং উক্ত সারনী থেকে দেখা যাচ্ছে সকল কথিত সহিহ হাদিস মুহাম্মদ মরার পর কমপক্ষে ২00 বছরের আগে একটাও লেখা হয় নি. সহিহ হাদিসের মধ্যে যাকে সব চাইতে বেশী গ্রহন করা হয় সেই বুখারি লেখা হয়েছে মুহাম্মদ মরার ২50 বছর পর. এই বুখারি ও মুসলিম হাদিসের মধ্যে সবচাইতে বেশী হাদিস সংগৃহিত হয়েছে আবু হুরায়রা নামক এক সাহাবির কথিত হাদিস থেকে. আবু হুরায়রা প্রায় 5,500 এর মত হাদিস সংগ্রহ করে. বুখারি বা মুসলিম উভয়ের প্রতিটিতে 7,500 এর মত হাদিস আছে. উভয়ের হাদিসেই আছে সাধারনভাবে আবু হুরায়রার কথিত 5,500 হাদিস. এখন দেখা যাক, উক্ত আবু হুরায়রা কে.
মুহাম্মদের জীবনের একেবারে শেষের দিকে আবু হুরায়রা মুহাম্মদের সাথে থাকে. সে মাত্র দুই বছর মুহাম্মদের সান্নিধ্যে কাটায়. অথচ সেই লোকই বর্ননা করেছে সিংহভাগ হাদিস যা মুসলমানরা অনুসরন করে ইসলাম পালন করে. তার হাদিসগুলো পড়লে দেখা যায়, সেগুলো হয় সে শুনেছে, না হলে বড়জোর আর একজন শুনেছে. অর্থাৎ সাক্ষী হয় সে নিজে, না হয় আর একজন. তার মানে খুবই দুর্বল সাক্ষী. যে ঘটনার সাক্ষী মাত্র একজন থাকে, সেই ঘটনাকে সত্য মনে করার কোন নিশ্চিত কারন থাকে না. তার চাইতে বিস্ময়কর ঘটনা হলো - আবু হুরায়রা যে তার হাদিস সংকলন করেছে সেটা সে মূলত: বলেছে উমাইয়াদের খিলাফতের আমলে. কারন চার খলিফার সময় হাদিস লেখা নিষিদ্ধ ছিল.
অধিকাংশ মুসলমানরাই জানে না যে এই উমাইয়া খিলাফত ছিল মুহাম্মদের ঘোর বিরোধী. আবু সুফিয়ানের ছেলে মূয়াবিয়ার ষড়যন্ত্রেই মূলত: ওমর, ওসমান ও আলী নিহত হয়. মুয়াবিয়ার ষড়যন্ত্রেই আলী ও আয়শা জঙ্গে জামালের যুদ্ধে অবতীর্ন হয় যাতে প্রায় 10,000 মুসলমান মারা যায়. এই মুয়াবিয়ার হাতেই পত্তন ঘটে উমাইয়া খিলাফত. তারপর উমাইয়ার ছেলে এজিদ নির্মমভাবে হত্যা করে মুহাম্মদের নাতী হোসেনকে, বিষপান করিয়ে হত্যা করে অন্য নাতি হাসানকে. আর সেই উমাইয়াদের অধীনে থেকেই আবু হুরায়রা তার হাদিস সংকলন করেছে. সুতরাং বুঝতেই পারছেন, আবু হুরায়রা কি ধরনের কথা বার্তা লিখতে পারে, হাদিসের নামে.

এবার সরাসরি দেখা যাক, আবু হুরায়রা হাদিসের নামে কি লিখেছে ---
সহিহ বুখারি, পরিচ্ছদঃ ২093. পরিবার-পরিজনের উপর ব্যয় করা ওয়াজিব (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ)
হাদিস নং- 4964: উমর ইবনু হাফস (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত. তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ উত্তম সাদাকা হল যা দান করার পরেও মানুষ অমুখাপেক্ষী থাকে. উপরের হাত নীচের হাতের চাইতে শ্রেষ্ঠ. যাদের ভরন-পোষণ তোমার যিম্মায় তাদের আগে দাও. (কেননা) স্ত্রী বলবে, হয় আমাকে খাবার দাও, নতুবা তালাক দাও. গোলাম বলবে, খাবার দাও এবং কাজ করাও. ছেলে বলবে, আমাকে খাবার দাও, আমাকে তুমি কার কাছে রেখে যাচ্ছ? লোকেরা জিজ্ঞাসা করলঃ হে আবূ হুরায়রা আপনি কি এ হাদীস রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছেন? তিনি উত্তরে বললেনঃ এটি আবূ হুরায়রা জামবিলের নয় (বরং নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে).
হাদিসের মানঃ সহিহ (সহীহ)
উক্ত হাদিসের নিচে দেখুন আবু হুরায়রা কি বলছে ---
///// লোকেরা জিজ্ঞাসা করলঃ হে আবূ হুরায়রা আপনি কি এ হাদীস রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছেন? তিনি উত্তরে বললেনঃ এটি আবূ হুরায়রা জামবিলের নয় /////
তো "আবু হুরায়রা জামবিলের নয়" বলতে কি বুঝায়? এটাই হলো অনুবাদের চালাকি. প্রতারনা. এভাবেই বাংলায় অনুবাদকারীরা শুধু হাদিস নয় কোরানের অনুবাদেও ছল চাতুরি, মিথ্যা ও প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছে. যাতে করে কোরান বা হাদিসের প্রকৃত অর্থ মুমিনরা জানতে না পারে. জানেন কিভাবে? এখন উক্ত হাদিসের ইংরেজী অনুবাদটা দেখি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সাইটেই - দেখুন সেটা নিচের মত ---

Narrated Abu Huraira:
"The Prophet (ﷺ) said, 'The best alms is that which is given when one is rich, and a giving hand is better than a taking one, and you should start first to support your dependents.' A wife says, 'You should either provide me with food or divorce me.' A slave says, 'Give me food and enjoy my service. " A son says, "Give me food; to whom do you leave me?" The people said, "O Abu Huraira! Did you hear that from Allah's Messenger (ﷺ)?" He said, "No, it is from my own self."

দেখুন লোকজন জিজ্ঞেস করছে, আবু হুরায়রা তুমি কি এসব নবীর কাছ থেকে শুনেছ? জবাবে বলছে - তিনি বলেন, "না, এটা আমার নিজের পক্ষ থেকে হয়." তার অর্থ কি দাড়াল? তার অর্থ দাড়াল, আবু হুরায়রা মুহাম্মদের কাছ থেকে শোনেনি, সেটা বরং তার নিজের কথা. সুতরাং বুঝতেই পারছেন, আবু হুরায়রা নিজেই বানিয়ে বানিয়ে হাদিস সংকলন করে গেছিল. যার সাথে মুহাম্মদের কথা বার্তার কোন সম্পর্ক নেই. যদি থাকেও, কোন হাদিসের সাথে মুহাম্মদের সম্পর্ক ছিল, তা বের করা অসম্ভব. সুতরাং দেখা যাচ্ছে, আবু হুরায়রা একটা মিথ্যাবাদী, আর এ মিথ্যাবাদীর সংকলন করা 5,500 টা মিথ্যা হাদিসের ওপরই ভিত্তি করে মূলত: ইসলাম দাড়িয়ে আছে. কেন সে মিথ্যা হাদিস লিখল? কারনও সুস্পষ্ট. সে যখন হাদিস সংকলন করে, তখন ক্ষমতায় মুহাম্মদ বিরোধী উমাইয়ারা. সুতরাং বোঝাই যায়, তাদের নির্দেশ বা অনুমোদন সাপেক্ষেই সে এসব হাদিস লিখেছে.

ইসলামি ফাউন্ডেশনের হাদিস সূত্র:
: Https://www.hadithbd.com/show.php?BookID=1&SectionID=60
Source: https://en.wikipedia.org/wiki/Abu_Hurairah
https://en.wikipedia.org/wiki/Kutub_al-Sittah
https://www.youtube.com/watch?v=pT907GtthNQ

মুহাম্মদের বিষপানে মৃত্যু

মুহাম্মাদের খাইবার জয়ের ঠিক পরেই এক ইহুদি মহিলার আমন্ত্রণে ভোজে যায়। যেখানে ওই মহিলা মুহাম্মাদ আর তার সাহাবিদেরকে বিষ মেশানো ভেরা/খাশি পরিবেশন করে। মুহাম্মাদ কয়েক টুকরা মাংস মুখে দেয়ার পরই বুযতে পারে তাতে বিষ মেশানো এবং সে ওই মহিলাকে প্রশ্ন করে কেন সে খাবারে বিষ মিশিয়েছে! ওই মহিলা উত্তরে বলে " আমি জানতে চেয়েছিলাম আপনি সত্যিই আল্লাহর নবী কিনা আর তা যদি হতেন আল্লাহ অবশ্যই আপনাকে বিষ মেশানো খাবারের কথা জানিয়ে দিতেন আর আপনি যদি মিথ্যাবাদী হয়ে থাকেন আমি সব মানুষকে আপনার বর্বরতা থেকে বাঁচিয়ে দিলাম"। অবশেষে এই বিষপানেই তার মৃত্যু হয় ৬৩২ সালেhttps://www.istishon.com/?q=node/23762

ইসলামি সন্ত্রাস

বর্তমান সময়ে ইসলামি সন্ত্রাস বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে আলোচিত বিষয়. প্রায় প্রতিদিনই পৃথিবীর কোথাও না কোথাও মানুষ এই ইসলামের সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে অথবা ব্যাপক সমস্যার সম্মখিন হচ্ছে. আর এর থেকে খুব সহজে এই পৃথিবী মুক্ত হচ্ছে না এটা আমরা খুব ভাল করেই বুঝতে পারি. ইসলামি সন্ত্রাস নিয়ে চারিদিকে তর্ক-বিতর্ক চলছে বিস্তর.
এই সকল তর্ক-বিতর্কে মুসলিমদের পক্ষ থেকে সবসময়ে বলা হয়ে থাকে যে, সমস্ত ইসলামি সন্ত্রাসী সংঘঠন গুলি পশ্চিমাদের তৈরি. পশ্চিমারাই এই সকল দলগুলিকে তৈরি করে ইসলাম ও মুসলিম দেশগুলির মধ্যে অস্থিরিতা আর দুর্নাম করছে তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য. এটা শিকার করতে কোন বাধা নেই যে এর সাথে বিশ্ব রাজনীতি ওতপ্রোত ভাবে জড়িত, তাই বলে পশ্চিমারা যাই বলছে তাই ওই সকল বর্বর মুসলিমরা শুনে বিভিন্ন দেশে নিরীহ মানুষদের উপর হামলা করছে এটা গাঁজাখুরি বেপার হয়ে যাচ্ছে না? তারা কি কচি খোকা যে তাদের বলা হল যাও বাবা ওইখানে গিয়া একটা বোমা ফেলে আসো আর তারা গিয়ে বোমা ফেলে মানুষ মেরে আসলো? তাদের কি মুহাম্মাদের দেয়া জান্নাতের লোভ নেই? আবুবকর, উসমান বা আলিকে কি নিজের ধর্মের মানুষরাই হত্যা করে নাই? হযরত আলি আর মুহাম্মাদের বউ আয়েশা এর মধ্যে যুদ্ধের জন্য কি মুসলিমরাই দায়ী নয়? নাকি ওইগুলিও পশ্চিমারা করিয়েছে? তাছাড়া ইজইজ, আল কায়েদা বা বকো-হারামরা কি অইসলামিক কাজ বা করছে? তারা যা করছে আমরা কি তার উদাহরণ মুহাম্মাদের জীবন সময়ে দেখি না? মুহাম্মাদ কি নিজ হাতে 700-900 ইহুদিকে সারিবেধে গলা কেটে হত্যা করে নাই? পেগানদের / অমুসলিমদের কি দেশ থেকে বিতাড়িত করে নি? বিভিন্ন ইসলামি যুদ্ধে আটক বিধর্মীদের মা-বোনদের গনিমতের মাল হিসেবে যৌন দাসী করে নাই, নাকি তখন পশ্চিমারা মুহাম্মাদকে দিয়ে ওই কাজ গুলি করিয়েছে?
মোটকথা বর্তমান সময়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গুষ্টিগুলি যেইসকল কাজ গুলি করছে এটাই হচ্ছে আসল ইসলাম আর আর তার উদাহারন আমরা দেখতে পাই ইসলাম শুরু হওয়ার সময় থেকেই. কাজেই এইসব কিছুতে পশ্চিমাদের দোষ খোজা বাদ দেন. নিজেদের আবেগ কে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেন, আসল ইসলাম কি জানার চেষ্টা করেন.

হিন্দুধর্ম কি গ্রহণ করা যায়?


কিছু হিন্দু ও অধিকাংশ মুসলিম মনে করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করা যায় না। হিন্দু হতে হলে জন্মসূত্রে হতে হবে। কিন্তু আমাদের পবিত্র গ্রন্থ বেদ কি বলে ?
বেদের সেই বিখ্যাত মন্ত্রও আমাদের নির্দেশ করে যে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করা যায়-
‘হে মনুষ্যগণ তোমরা ঈশ্বরের মহিমাকে বৃদ্ধি কর, সমগ্র বিশ্বকে আর্যধর্মে দীক্ষিত কর’। ঋগ্বেদ, ৯/৬৩/৫
"Oh mankind! To increase the glory of God, convert the whole world into AryaDharma!"...Rigveda 9/63/5